উন্নাও: বিয়ের আসরে উৎসবের মেজাজ। হইচইয়ে মত্ত সকলে। তাল কাটল পাত্রর মাথার পাগড়ি খুলতেই। গরমে অসুস্থবোধ করায় বিয়ের পাত্রের মাথার পাগড়ি খুলে ফেলা হয়। পাগড়ির সঙ্গে বেরিয়ে পড়ে পরচুলা। দেখা যায় পাত্রার মাথায় মস্ত বড় টাক। ব্যস, আর যায় কোথায়। কনে বেঁকে বসলেন। শেষ পর্যন্ত টাকমাথা বরকে বিয়ে করতে হবে? নৈব নৈব চ। শেষে কনেপক্ষ ও পাত্রপক্ষের মধ্যে রাতভর চলল বচসা। বিয়ের আসরে হাজির পুলিস। পাত্রীপক্ষের দাবি, বিয়েতে খরচ হওয়া প্রায় ছলক্ষ টাকা মিটিয়ে দিতে হবে। পুলিসের মধ্যস্থতায় পাত্রীপক্ষ আদায় করে ছাড়ে ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা।
ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের উন্নাওতে সফিপুর কোতয়ালি থানার পারিয়ার গ্রাম। ঠিক যেন বলিউডের ছবি বালা-র চিত্রনাট্য। সেখানে নকল চুল পরে বিয়ে করেছিলেন পাত্রবেশী আয়ুষ্মান। বিয়ের পর ধরা পড়ে, পাত্র স্বল্পকেশী। তারপরই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে শুরু হয় টানাপড়েন। বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়ায় তা। উন্নাওয়ের ঘটনা অবশ্য তা বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়নি। বরের মাথায় টাক দেখে অবাক কনেপক্ষের লোকজন। বরের বিরুদ্ধে উঠল প্রতারণার অভিযোগও। শেষে বিয়ে না করেই ফিরে যান পাত্র।
আরও পড়ুন: Afganistan: ‘দুষ্টু মেয়ে’দের ঘরবন্দি করে রাখা হবে, তালিবানি ফতোয়া
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাত্র পঙ্কজ কাশ্যপ পরচুলা পরে বিয়ে করতে এসেছিলেন। স্থানীয় এক গেস্ট হাউসে ২০ মে বিয়ের আসর বসেছিল। পারিয়ার গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মণ কাশ্যপের মেয়ে নিশা ছিলেন পাত্রী। ধুমধাম করে শোভাযাত্রা সহকারে পাত্রপক্ষ হাজির হয় বিয়ের আসরে। প্রথামাফিক জয়মালার অনুষ্ঠান শেষে বিয়ের মঞ্চেই হঠাৎ অসুস্থবোধ করে অজ্ঞান হয়ে পড়েন পঙ্কজ। সেই সয়য় কনের দুই ভাই নীতিন ও বিপিন হবু জামাইবাবুর মাথায় জল ঢালেন। খুলে ফেলা হয় পাগড়ি। তার সঙ্গেই খুলে যায় পঙ্কজের মাথার পরচুলা। বেরিয়ে পড়ে মস্ত টাক। তারপরেই বাঁধে ধুন্ধুমার কাণ্ড।