কোচবিহার: কয়েক মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড অসম-বাংলা সীমান্তের রামপুর ও জোড়াই এলাকা। ঝড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছে বাড়ি-ঘর। উপড়ে পড়েছে গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি। ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে বিপর্যস্ত এলাকায় পৌঁছেছেন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা।
চৈত্র সংক্রান্তির রাতে আচমকা ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের রামপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েতের উত্তর রামপুরের আশ্রমপাড়া এলাকা। গুরুতর জখম অবস্থায় ২ জন আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঝড়ে পুরো ক্ষতিগ্রস্ত হয় গোটা গ্রাম। ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে ঘরের চাল। এই অবস্থায় বছরের প্রথম দিন অসহায় হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন: Tarapith Temple: নববর্ষের সকালে উপচে পড়া ভিড় তারাপীঠে
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুর ও জোড়াইয়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় রাত ৯টা নাগাদ বৃষ্টির সঙ্গে প্রচণ্ড গতিতে ঝড় শুরু হয়। গ্রামবাসীরা জানান, মুহূর্তের মধ্যে যেন প্রলয় তাণ্ডব চলতে থাকে। শোঁ-শোঁ করে আওয়াজ আর তার সঙ্গে দুমদাম করে ভেঙে পড়তে থাকে গাছের ডাল, ঘরের চাল। গ্রামের বেশিরভাগ ঘরেরই টিনের চাল উড়ে গিয়েছে। এইভাবে প্রায় ২০-২৫ মিনিট ঝড়ের তাণ্ডবলীলা চলে।
ঝড়ের পর ঘরের অবস্থা
আচমকা এই ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় গোটা এলাকা। রাস্তায় গাছ উপড়ে পড়ে বারোবিশা-রামপুর রাজ্য সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ঝড়ের দাপটে উপড়ে পড়েছে একাধিক বিদ্যুতের খুঁটি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে উদ্ধারকাজ। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছ সরাতে হাত লাগিয়েছেন দমকলকর্মীরা।
আরও পড়ুন: Belur Math: নববর্ষের উপহার, পুরোপুরি খুলে গেল বেলুড় মঠ, মিলবে প্রসাদও
গ্রামবাসীরা জানান, ঝড়ের ফলে তাঁরা রাতারাতি বেঘর হয়ে পড়েছেন। হাঁড়িকুড়ি থেকে সংসারের প্রায় সবকিছু নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ছোট ছেলেমেয়েদের বইখাতাও বাদ যায়নি। এই অবস্থায় মাথার উপর ছাদ হারিয়ে তাঁরা অকূল পাথারে পড়েছেন। প্রশাসনের তরফে তাঁদের অন্যত্র থাকার কথা বলা হলেও মালপত্র ছেড়ে বাসিন্দারা কোথাও যেতে রাজি নন।