কলকাতা: মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সেস (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২২। এদিন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিলটি পেশ করেন। বিরোধী বিজেপি সদস্যরা যথারীতি বিলের প্রতিবাদ করেন। এই বিলেও স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য পদে বসানোর সংস্থান রাখা হয়েছে। মূলত এই উদ্দেশ্যেই বিলটি আনা হয়েছে।
বিরোধীরা বিলের উপর ভোটাভুটি চান। প্রথমে বৈদ্যুতিন ভোট যন্ত্রে ভোট হয়। দেখা যায়, মোট উপস্থিত বিধায়ক সংখ্যা ১৮৪। বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ১২৮টি, বিপক্ষে ৫০টি। ভোট দানে বিরত ছিলেন ৪ জন। পরে আবার ভোট নেওয়া হয় চিরকূটে। তাতে
মোট উপস্থিত সংখ্যা ১৮৬। বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ১৩৪টি, বিপক্ষে পড়ে ৫১টি। ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন ১ জন।
বিলের উপর আলোচনায় অংশ নেন বিজেপির মনোজ টিগ্গা, অগ্নিমিত্রা পল, মকুটমণি অধিকারী, শঙ্কর ঘোষ, অম্বিকা রায় প্রমুখ। শাসকদলের পক্ষে নির্মল মাঝি, মধুসূদন ভট্টাচার্য, সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে মন্ত্রী চন্দ্রিমা বলেন, রাজ্যে ২২৯টি কলেজ। তার মধ্যে ১৪৬টি সরকার পোষিত কলেজ। গত আর্থিক বছরে রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৫৫.৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
আরও পড়ুন: Jagdeep Dhankhar: ধুঁকছে গণতন্ত্র, রাজ্যে ভেঙে পড়েছে শিক্ষাব্যবস্থা, সরব রাজ্যপাল
এই বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসি-র অন্তর্ভুক্ত হলেও আজ পর্যন্ত তাদের কোনও অনুদান পায়নি। মন্ত্রীর দাবি, তৃণমূল আমলে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে অনেক মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হয়েছে বলেই প্রতি বছর ডাক্তারি ছাত্রের সংখ্যা বাড়ছে। রাজ্য সরকার কোনও কিছুরই দখল নিচ্ছে না। তিনি বলেন, আসলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মানুষের মন দখল করে নিয়েছেন। মন্ত্রী চন্দ্রিমা আরও বলেন, শিক্ষার মতো স্বাস্থ্যও যুগ্ম তালিকায় রয়েছে। কেন্দ্রের মতো রাজ্যেরও অধিকার আছে আইন প্রণয়নের। কেউ যদি বলেন, বিলে সই করব না, তাহলে তিনি শিশুসুলভ আচরণ করবেন।