আজকাল মুখ মাস্কে ঢাকা থাকে ঠিকই, কিন্ত ঠোঁটের রেহাই নেই। বরং রোদ, বৃষ্টিতে ভিজে যা একটু যত্ন-আত্তি পেত, এখন তাও জোটে না। উল্টে সারাক্ষণ মাস্কের ভিতরে থেকে নিশ্বাস-প্রশ্বাসের গরম হাওয়ায় শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে ঠোঁট। তাই আপনি যদি নরম ঠোঁটের মিষ্টি হাসির অধিকারিণী হতে চান তা হলে এই সব বিধি অবশ্যই মেনে চলুন।
১. এক্সফোলিয়েট করুন
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভাল করে ঠোঁটে লিপ বাম লাগিয়ে নিন। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ভেজা কাপড় দিয়ে বা টুথব্রাশ দিয়ে হাল্কা হাতে ঠোঁট ডলে নিন। এর ফলে আপনার ঠোঁট শুষ্ক ত্বক ও মৃত কোষের হাত থেকে রেহাই পাবে। ঠোঁটে রক্ত সঞ্চালনও বাড়বে।
২. পারলে ঘরোয়া উপায়ে ঠোঁট স্ক্রাব করুন
৩. ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখুন
মাস্ক তো বটেই, ঠিকমতো জল না খেলেও ঠোঁট শুকিয়ে যায়। তাই অন্তত দিনে আট গ্লাস জল খান। ঠোঁটের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা থাকলে ঠোঁট নরম থাকবে ও দেখতেও সুন্দর লাগবে।
৪. নিত্য ব্যবহারের ক্রিম বা লিপ বাম পরখ করে নিন
ঠোঁটের সবকটি প্রোডাক্ট এক রকম হয় না।লিপ বামে শিয়া বাটার, কোকো বাটার ও নারকেল তেলের মতো উপাদান থাকলে খুবই ভাল। এগুলি রোদ ও দূষণ থেকে ঠোঁটের রক্ষা করে। কিন্তু লিপ বামে কর্পূর জাতীয় উপাদান থাকলে আপনার ঠোঁট আরও শুকিয়ে যাবে। পাশাপাশি লিপ বামের এক্সপায়ারি ডেটও দেখে নেবেন।
৫. ভিটামিন ই ব্যবহার করুন
বাড়িতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল থাকলে কেটে ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। ভিটামিন ই রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে ঠোঁটের স্বাস্থ্য ফেরাতে বেশ কার্যকরী।
৬. ঠোঁট নিয়মিত ময়শ্চারাইজ করুন
ঘরোয়া উপায়ে ঠোঁট ময়শ্চারাইজ করতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে ঠোঁটের ত্বক নরম ও সুন্দর হয়ে যাবে।
৭. টক্সিন প্রোডাক্ট ও ক্ষতিকারক কেমিক্যাল থেকে ঠোঁটের যত্ন নিন
পরিবেশ দূষণ ও সিগারেট খেলে তার প্রভাব ঠোঁটেও পড়ে৷ সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় যত্ন নিতে হবে।
৮. ঠোঁটের স্বাস্থ্য বৃদ্ধির জন্য পেপারমিন্ট অয়েল খুবই কার্যকরী। এর শীতল অনুভূতি শুষ্ক ঠোঁটকে আরাম দেয়। পেপারমিন্ট অয়েলের সঙ্গে আমন্ড ওয়েল বা নারকেল তেল লাগিয়ে নিয়মিত ঠোঁটে লাগান। সারা বছর এই মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারবেন। এর ফলে ঠোঁট নরম ও সুস্থ থাকবে।