সোনারপুর: কোনও কিছু লেখার শেষে ছোট্ট একটি ডট দেওয়া হয়। কিন্তু সেখান থেকেও যে শুরু করা যায়, সেটা হয়তো অনেকেরই অজানা। সেই অজানার খোঁজে রাজ্যের নাম উজ্জ্বল করলেন শুভ্রা পাল। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগণার সোনারপুরের গোরখারা মালির বাগান এলাকার বাসিন্দা। লেখার শেষের ছোটো ছোটো ডট দিয়েই তিনি এঁকে ফেললেন আস্ত একটা প্রতিকৃতি। প্রথম হলেন ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে।
আরও পড়ুন: জলে ভাসছে মুম্বই, বিপর্যস্ত জনজীবন
শুভ্রা পালের জন্ম সোনারপুরেই। ছোটবেলা থেকেই তাঁর আঁকার প্রতি আলাদা ঝোঁক ছিল। প্রথমে আঁকা শিখেছেন সোনারপুর ঘাসিয়ারা অতুলকৃষ্ণ রায় বিদ্যায়তনে। তাঁর মা ভারতী পালও আঁকায় দক্ষ ছিলেন। মার উৎসাহতেই তাঁর এতটা এগিয়ে যাওয়া। এরপর পেরিয়ে যায় অনেকগুলো বছর। ২০১৫ সালে শুভ্রার মনে হতে শুরু হয়, যেখানে ডট দিয়ে যে কোনও লেখা শেষ হচ্ছে, সেই শেষ থেকে যদি শুরু করা যায় তাহলে মানুষের কাছে একটা অন্য রকম উপহার তুলে দেওয়া যাবে। ভাবনা মতো কাজ শুরু করেন তিনি। একের পর এক সাফল্য আসে তাঁর ঝুলিতে। ২০১৯ সালে কলকাতার পার্ক স্ট্রিট গভর্নমেন্ট কলেজ আর্ট অব ক্র্যাফট এ পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। ২০২১ শে কলাভবন থেকে মাস্টার্স শেষ করেন।
আরও পড়ুন: ‘অপহরণের চেষ্টা’ করছে ভারতীয় গোয়েন্দারা: মেহুল
তিনি ০.১ মিলিমিটার অসংখ্য পেনের ডট দিয়ে মাত্র ১৫ দিনে একফুট বাই দেড় ফুটের একটি ছবি এঁকে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস এ প্রথম পুরস্কার অর্জন করেছেন। তাঁর এই সাফল্যতে খুশি দেশের পাশাপাশি গোটা সোনারপুর সহ তাঁর পরিবার। আগামী দিনে ভারতের হয়ে পৃথিবীর বুকে দেশের নাম উজ্জ্বল করাই এখন তাঁর একমাত্র লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন শুভ্রা পাল।