করোনায় আক্রান্ত সুরজিৎ সেনগুপ্তের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাঁর এখন আর জ্বর নেই। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে। অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৬ শতাংশ। সব মিলিয়ে পিয়ারলেস হাসপাতালে স্থিতিশীল সত্তর দশকের শিল্পী ফুটবলার সুরজিৎ।
এদিকে মঙ্গলবার রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের উদ্যোগে সুরজিতের চিকিৎসা নিয়ে নব মহাকরণে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক বসে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিদেশ বসু, মানস ভট্টাচার্য, সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেবজিৎ ঘোষ, আই এফ এ সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, ইস্ট বেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার, মোহনবাগানের অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত, মহমেডানের সচিব দানিশ ইকবাল এবং পিয়ারলেস হাসপাতালের সিইও সিঞ্চন ভট্টাচার্য। সেখানে সুরজিতের পুত্র পেশায় শিক্ষক স্নিগ্ধদেব সেনগুপ্ত জানান ২০১১ সালের আগস্ট মাসে সুরজিৎ যখন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তখন তাঁর বুকে চারটে স্টেন্ট বসেছিল। এছাড়া বাবার শরীরে অন্যান্য রোগের কথাও জানান তিনি। সভায় ক্রীড়ামন্ত্রীর প্রস্তাব মেনে পিয়ারলেস হাসপাতাল প্রতিদিন সন্ধ্যায় একটি করে মেডিক্যাল বুলেটিন বের করবে, সুরজিতের চিকিৎসার জন্য একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করবে। এর সঙ্গে যদি কোনও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের প্রয়োজন হয় তবে তারও ব্যাবস্থা করবে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই করোনা বিশেষজ্ঞ ডাঃ যোগীরাজ রায়কে সুরজিতের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বলাই বাহুল্য সুরজিতের চিকিৎসার সব খরচ রাজ্য সরকার যে বহন করবে তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।