রতুয়া: গঙ্গা নদীর ভাঙনের ফলে ইতিমধ্যে একটি গোটা গ্রাম পঞ্চায়েত গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। কালিচক ২ নম্বর ব্লকের কেবি ঝাউবনা গ্রামপঞ্চায়েতের এখন আর কোনও চিহ্নমাত্র নেই। খাতা কলমে মালদহ জেলাতে ১৪৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত থাকলেও বর্তমানে তার সংখ্যা ১৪৬টি। গত ১০-১৫ বছর ধরে রতুয়ার ১ নম্বর ব্লকের মহানন্দাতলা এবং বিলাইমারি অঞ্চলের প্রায় ১ লক্ষেরও বেশি মানুষ বিপন্ন।
নিশ্চিহ্ন হতে চলেছে মহানন্দাটোলা এবং বিলাইমারি গ্রামপঞ্চায়েত। কারণ গঙ্গা এবং ফুলহার নদী ভাঙতে ভাঙতে দুটি নদীর দুরত্ব দাঁড়িয়েছে কম বেশি প্রায় ১৪০০ মিটার। একদিকে গঙ্গা নদী জমি, বাড়ি গ্রাস করতে করতে ১০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে এসেছে। আর একদিকে ফুলহার নদী ঢুকে এসেছে ৪ কিলোমিটার ভিতরে। রীতিমত দিশেহারা এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষেরা। ইতিমধ্যে গঙ্গা এবং ফুলহার নদীর ভাঙনে মহানন্দাতলা এবং বিলাইমরি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৭টি গ্রাম নিশ্চিহ্ন।
আরও পড়ুন: Weather Update: কালবৈশাখীর দাপটে ৬ ডিগ্রি কমল তাপমাত্রা, বুধবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস
এ ব্যাপারে রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সংস্থা গঙ্গা ফ্লাড কন্ট্রোল কমিশন ভাঙন রোধে একটি টাকাও দেয়নি রাজ্যকে। মহানন্দাতলা এবং বিলাইমারি এই দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে বাঁচাতে শেষ পর্যন্ত তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্য চেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে সেচ দফতরের আধিকারিকরা বৃহস্পতিবার ঐ ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন। তারপর মুখ্যমন্ত্রীকে এই ভাঙন নিয়ে রিপোর্ট জমা দেবেন তাঁরা।