কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি বিরল প্রজাতির হাঙর আবিষ্কার করলেন৷ যা বেবি ঘোস্ট শার্ক নামে পরিচিত৷ এই প্রজাতির হাঙর মূলত সমূদ্রের গভীরে বসবাস করে। ফলে খুবই কম দেখতে পাওয়া যায় এই হাঙরকে৷ আর বেবি ঘোস্ট শার্ককে খুজে পাওয়া তো ভাগ্যের ব্যাপার৷ বিজ্ঞানীদের মনে করছেন, এই প্রজাতির হাঙর সম্প্রতি ডিম পাড়ে৷ কারণ, আবিষ্কৃত হাঙরের পেট এখনও ডিমের কুসুমে ভরা।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে বিবিসি-তে প্রকাশ, এই বেবি ঘোস্ট শার্ক কাইমেরা নামেও পরিচিত৷ সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না বললেও চলে৷ এই বেবি ঘোস্ট শার্কের দৃষ্টিশক্তি আরও বেশি অস্বচ্ছ। আবিষ্কৃত হাঙ্গরটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১.২ কিমি গভীরতা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
বেবি ঘোস্ট শার্কের ডিম ৷
বিজ্ঞানীদলের মধ্যে ডক্টর ব্রিট ফানুচ্চি বলেন, গভীর জলে বসবাসকারী সামুদ্রিক জীব-প্রাণী সম্পর্কে গবেষণা করতে গিয়ে দূর্ঘটনাক্রমে বেবি ঘোস্ট শার্ক আবিষ্কার করা হয়। গভীর জলে এই প্রজাতির হাঙর খুঁজে পাওয়া কঠিন কাজ৷ বিশেষ করে ঘোস্ট শার্কের মত রহস্যময় প্রজাতি।
জাতীয় জল এবং বায়ূমন্ডল গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীদের দাবি, বাচ্চা হাঙরটি ডিমের কুসুমে পূর্ণ ছিল৷ এই হাঙরের ভ্রূণগুলি সমুদ্রের তলদেশে থাকে। ডিম ফোটার জন্য প্রস্তুত হওয়ার আগে পর্যন্ত পেট কুসুমে পরিপূর্ণ থাকে।
আরও পড়ুন- Ukraine Crisis: রুশ সেনা সরছে, মানতে নারাজ ইউক্রেন
ডা: ফানুচ্চি আরও জানান, বেবি ঘোস্ট শার্ক প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করতে থাকে। প্রাপ্ত বয়স্কদের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন হয়৷ দেখতেও আলাদা৷ কিশোর হাঙর ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় বসবাস করতে পারে।
এই প্রজাতির হাঙর কার্টিলাজিনাস বলা হয়৷ যার অর্থ কঙ্কালগুলি তরুনাস্থি দিয়ে গঠিত৷ যা অদ্ভত ইথারিয়াল বা অশরীরী হওয়ার গুণাগুন প্রদান করে। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে সমুদ্রের গভীরে বাস করে৷ হাতেগোনা কিছু প্রজাতি অগভীর উপকূলীয় জলে থাকতে পছন্দ করে।
আরও পড়ুন- Canada Freedom Convoy: বাবার দেখানো পথে ৫০ বছর পর কানাডায় জরুরি অবস্থা জারি ট্রুডোর