কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টে নাটকের পর নাটক। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন ডিভিশন বেঞ্চ গঠনের কথা ঘোষণা হওয়ার পরই বেঁকে বসলেন বিচারপতি টি এস শিভাগ্নানম। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সোমবার তিনি এসএসসির মামলা থেকে অব্যাহতি নিলেন। কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির পাঁচ সদস্য ফের প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয়েছেন। এদিনই প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব বিচারপতি শিভাগ্নানমের নেতৃত্বে নতুন ডিভিশন বেঞ্চের কথা ঘোষণা করেন।
পরে প্রধান বিচারপতি জানান, স্কুল সার্ভিস কমিশন মামলার শুনানি হবে বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি অজয় কুমার মুখোপাধ্য়ায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। আবেদনকারীরা বিচারপতি সেনের এজলাসে হাজির হন ঘোষণা হওয়া মাত্রই।
এদিন সকালে এসএসসির সমস্ত মামলা থেকে অব্যাহতি নেয় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এসএসসির মামলার জন্য বিচারপতি টি এস শিভাগ্নানমের নেতৃত্বে নতুন ডিভিশন বেঞ্চের কথা ঘোষণা করেন। পরমুহূর্তেই বিচারপতি শিভাগ্নানমও জানিয়ে দেন, তিনি এই মামলা থেকে সড়ে দাঁড়াতে চান। শেষে ফের নতুন বেঞ্চ গঠনের কথা জানান প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন: Matia Rape Case: মাটিয়ার ধর্ষণ-কাণ্ডে পুলিসি তদন্তেই আস্থা হাইকোর্টের
স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে অন্তত একডজন মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, যে কটি মামলা চলছে, তার দুর্নীতি হিমশৈলের চূড়া মাত্র। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য রাজ্য সরকার পাঁচ সদস্যের যে কমিটি করেছিল, তার বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে খোদ আদালত। হাইকোর্টের মতে, কমিটির সদস্যরাও প্রশ্নের বাইরে নয়। তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে আদালতে নানা টানাপড়েন চলছে।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিভিন্ন নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চ বারবার স্থগিতাদেশ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে। সে ব্যাপারে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর প্রশাসনিক রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বিষয়টি দেখতে বলেন। এই বিতর্কের মধ্যেই সোমবার দফায় দফায় ডিভিশন বেঞ্চের বদল ঘটে।