কিভ: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়ার জন্য নতুন করে কয়েকটি গ্রিন করিডরের কথা জানিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের এক মন্ত্রী ভেরেশচুক ক্রেমলিনের উল্লেখ করে, বুধবার এই গ্রিন করিডরের কথা জানান। ভেরেশচুক দাবি করেন, রাশিয়া আশ্বস্ত করেছে গ্রিন করিডরগুলিতে কোনওরকম হামলা তারা চালাবে না। তার পরেই ইউক্রেনের তরফে সরকারি ভাবে গ্রিন করিডরগুলির উল্লেখ করা হয়।
ঘোষিত ‘গ্রিন করিডর’গুলির মধ্যে রয়েছে এনারগোদার থেকে জাপুরিঝিয়া, সুমি থেকে পোলটভা, বন্দর শহর মারিউপোল থেকে জাপুরিঝিয়া, ভলনোভাখা থেকে পোকরোভস্ক, লজিয়ুম থেকে লোজোভা, ভরজেল, বুচা, বোরোদিয়াঙ্কা, ইরপিন, হোস্টোমেল থেকে কিভ।
সংবাদ সংস্থার তরফেও দাবি করা হয়, যুদ্ধরত রাশিয়া ও ইউক্রেন আরও একবার যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। নির্দিষ্ট কয়েক ঘণ্টার জন্য নয়। একটা গোটা দিন এই সেফ করিডর খোলা থাকবে। যাতে ইউক্রেনে আটকে পড়া সাধারণ মানুষজন নিরাপদে সরে যেতে পারেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে যুদ্ধ বেধেছে। যুদ্ধের কারণে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, চিন-সহ একাধিক দেশের নাগরিকরা আটকে পড়েন। এর একটা বড় অংশই আবার পড়ুয়া। অপারেশন গঙ্গা-র আওতায় কয়েক দফায় এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ উড়ানে ২০ হাজার ভারতীয় পড়ুয়াকে ফিরেয়ে আনে বিদেশমন্ত্রক। কিভের ভারতীয় দূতাবাসের তত্পরতায় ইউক্রেনে আটকে থাকা বাকি ভারতীয় পড়ুয়াদেরও দ্রুত দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি চলছে। সুমি থেকে বুধবারই প্রায় ৭০০ ভারতীয় পড়ুয়ার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
⚡️Ukraine expects temporary ceasefire to evacuate civilians from 10 cities on March 9.
The routes include Enerhodar and Mariupol to Zaporizhzhia, from Sumy to Poltava, from Izium to Lozova, from Volnovakha to Pokrovsk, from Vorzel, Borodianka, Bucha, Irpin, and Hostomel to Kyiv.
— The Kyiv Independent (@KyivIndependent) March 9, 2022
নির্বিঘ্নে উদ্ধারকাজ সম্পন্ন করতে যুযুধান দু’দেশের কাছে একাধিকবার যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছিল ভারত। গত শনিবার থেকে কয়েক দফায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে রাশিয়া। ইউক্রেনে আটকে পড়া ভিনদেশি-সহ সে দেশের নাগরিকদের ধ্বস্ত শহরগুলি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতেই এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা। কিন্তু, ভ্লাদিমির পুতিন রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যে ২০ লক্ষ নাগরিক ইউক্রেন ছেড়েছেন। প্রাণরক্ষায় প্রতিবেশী দেশগুলিতে আশ্রয় নিচ্ছেন এই শরণার্থীরা।
আরও পড়ুন-Russia-Ukraine war: ডনবাসে হামলার পরিকল্পনা ছিল ইউক্রেনের, নথি প্রকাশ করে দাবি রাশিয়ার