কেতুগ্রাম: কেতুগ্রামে রেণু খাতুনের কবজি কেটে নেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার আরও এক। ধৃতের নাম চাঁদ মহম্মদ শেখ। সম্পর্কে রেণুর স্বামী শরিফুলের মাসির ছেলে। শুক্রবার সকালে সালার স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করে কেতুগ্রাম থানার পুলিস। সূত্রের খবর, শরিফুল যে দুজন সুপারি কিলারকে ভাড়া করে এনেছিল, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিল চাঁদ মহম্মদ। বৃহস্পতিবার রাতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে চাঁদের নাম উঠে আসে। তারপরই শুক্রবার ভোররাতে ট্রেন ধরে পালানোর চেষ্টা করছিল সে। পালানোর সময় সালার স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিস।
গত শনিবার কেতুগ্রামে নার্স রেণু খাতুন সরকারি চাকরি পাওয়ায় আক্রোশের বশে হাতের কবজি কেটে দেয় স্বামী শরিফুল। স্ত্রী সরকারি চাকরি পেয়ে যাওয়ায় তাকে ছেড়ে চলে যেতে পারেন, এই সন্দেহেই ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। এরপর চাকরি সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্রও-সহ গা ঢাকা দেয় স্বামী শের মহম্মদ শেখ ওরফে শরিফুল শেখ-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
তদন্তে নেমে কেতুগ্রাম থানার পুলিস মঙ্গলবার সকালে রেণুর শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম সালার সীমান্ত এলাকার হলদি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় শরিফুলকে। বৃহস্পতিবার শরিফুলের দুই সঙ্গীকে আশরফ আলি শেখ ও হাবিব শেখ নামে দুই অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করে পুলিস। সূত্রের খবর, কেরলে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল ধৃতরা। ধৃতদের দফায়-দফায় জেরা করা হয়। সেই জেরাতেই উঠে আসে চাঁদের নাম।
আরও পড়ুন: Rail Blockade: গেদে-শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন অবরোধ, আটকে একাধিক লোকাল-এক্সপ্রেস
জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন ওই দুজনের সঙ্গেই রাতে খাওয়া-দাওয়া সারে শরিফুল। রেণু ঘুমিয়ে পড়লেও শরিফুলরা তিনজন অনেক রাত পর্যন্ত জেগেছিল। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হওয়ার পর একজন রেণুর দুই পা চেপে ধরে। আর একজন তাঁর দুই হাত চেপে মুখে বালিস ঠেসে ধরে, যাতে তিনি চিৎকার করতে না পারে। তাঁর স্বামী শরিফুল টিন কাটার কাঁচি দিয়ে রেণুর ডান হাতের কবজি কেটে দেয়।