কলকাতা: রামপুরহাটে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় কলেজস্ট্রিটে বিক্ষোভ-রাস্তা অবরোধ-প্রতিবাদ৷ প্রেসিডেন্সি এবং কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা এই অবরোধ করেন৷ বাম ছাত্রানেতাদের দাবি, অবিলমম্বে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে৷ যে রক্তের খেলা চলছে, তার বিরুদ্ধে আগামিদিনে আরও বড় আন্দোলন হবে বলেও আওয়াজ তুলেছে এসএফআই৷
বুধবার রাস্তায় নেমে এসএফআইয়ের সদস্যরা প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন৷ তাঁদের দাবি, উত্তরপ্রদেশে থেকে মানুষ-হত্যার পদ্ধতি জেনে এসেছে তৃণমূল৷ একের পর এক হত্যালীলা চলছে বাংলায়৷
বাংলায় গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা নেই বলেই সুর চড়িয়েছেন বাম ছাত্র নেতারা৷ তাঁদের বক্তব্য, এই অত্যাচারী অগণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করতেই হবে৷ এই সরকারের বিরুদ্ধে যতদূর আন্দোলনের গতি বাড়ানো যাচ্ছে-এই মন্তব্য করে দাবি করা হয়েছে, গত দশ বছরে রাজ্যে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে৷ মানুষ বিরক্ত৷ আতঙ্কিত৷ বাংলাকে ক্রমাগত ভূলুন্ঠিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে বাম ছাত্রনেতারা বলেন, এই রাজ্যে গণতন্ত্র-শান্তির বিন্দুমাত্র অবশিষ্ঠ নেইষ বাক স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে৷ বিরোধী কন্ঠস্বর স্তব্ধ করে দেওয়া হচ্ছে৷ পুলিস-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে৷ ভোটদানের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে৷ এভাবে গণতান্ত্রিক রাজ্য চলতে পারে না৷ এর বিরুদ্ধে আগামী দিনে আরও বড় আন্দোলনে যেতে চলেছে বামেরা৷
বুধবার সকালে রামপুরহাট পৌঁছন মহম্মদ সেলিম এবং বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু৷ নতুন রাজ্য সম্পদক সেলিমকে নিয়ে রামপুরহাটের রাস্তায় সরকার বিরোধী স্লোগান তোলেন বিমানরা৷ বাগটুই গ্রামে যান তাঁরা৷ একদিকে যেমন সরকার বিরোধী অবস্থান স্পষ্ট করছিলেন সেলিমরা, অন্য দিকে কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে বামেদের তরুণ প্রজন্ম সরকার বিরোধী আন্দোলনে গতিদানের চেষ্টা করলেন৷