ওয়াশিংটন: ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে জো বাইডেন ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে (Putin-Biden meeting) বিরোধ এখন চরমে। যার প্রভাব আমেরিকা ও রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও পড়েছে। দিন দুই আগে পুতিন সরকারকে উত্খাতের ডাক দিয়ে এই বিরোধের আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পুতিনকে ‘কসাই’, ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলতেও কুণ্ঠা করেননি বাইডেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বাইডেন বিতর্কে সরাসরি মুখ না-করলেও ক্রেমলিনের তরফে কড়া জবাব দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট (Russian President) কে হবেন, তা যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনও দেশের রাষ্ট্রনেতার উপর নির্ভর করে না, তা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে পুতিনের মুখপাত্র এ-ও বলেন, কোনও রাষ্ট্রনেতার মুখে এ ধরনের কথা শোভা পায় না। এমন একটা পটভূমিতে পুতিন কিংবা বাইডেন এই মুহূর্তে পরস্পরের মুখোমুখি হতে রাজি হবেন বলে মনে করেন না আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। যদিও, আমেরিকার তরফে বৈঠকের সম্ভাবনা নস্যাৎ করা হয়নি।
A meeting between Russian President Vladimir Putin and his US counterpart Joe Biden is possible only after a significant de-escalation in Ukraine, White House Director of Communications Kate Bedingfield told reporters on Tuesday:https://t.co/6aBqS9Zgh1 pic.twitter.com/NAm3wvYvdE
— TASS (@tassagency_en) March 30, 2022
হোয়াইট হাউসের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর (White House) কেট বেডিংফিল্ড সাংবাদিকদের জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর গতকালই কথা হয়েছে। ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে উনি আবারও মুখোমুখি কথা বলতে চান। এই বৈঠকের জন্য হোয়াইট হাউসের তরফে কোনও শর্তারোপ করা হবে না বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও বাইডেন প্রশাসন স্পষ্ট করে বলেছে, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন (Russia-Ukraine war) আগে বন্ধ করতে হবে। তার পরেই পুতিনের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন।
মঙ্গলবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হওয়া শান্তি বৈঠকে (Vladimir Putin-Joe Biden meeting) অনেকটাই নমনীয় মনোভাব দেখিয়ে রাশিয়া। বৈঠক ফলপ্রসূ বলেও রাশিয়ার মধ্যস্থতাকারীদের তরফে দাবি করা হয়। ওই বৈঠকেই রাশিয়া কথা দেয়, কিভ ও চেরনিহিভ শহরের আশপাশ থেকে রুশ সেনাবহর কমানো হবে। ইউক্রেনের আস্থা অর্জনেই যে এই সিদ্ধান্ত তা-ও স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। যদিও রাশিয়ার এই মুখের কথায় এখনও ভরসা রাখতে পারছে না আমেরিকা।
আরও পড়ুন: Matia Rape Case: ধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্তে মাটিয়ায় ফরেনসিক দল
ইউক্রেনে যুদ্ধের প্রেক্ষিতে পুতিনকে নজিরবিহীন ভাবে আক্রমণ করতে গিয়ে বাইডেন যে বিতর্ক বাধিয়েছেন, তাতে দু’দেশের সম্পর্ক প্রভাবিত হবে বলে মনে করেন মার্কিন কূটনীতিকরা। তাই বাইডেন বিতর্ক ধামাচাপা দিতে হোয়াইট হাউসকে তড়িঘড়ি বিবৃতি দিয়ে হয়, পুতিনকে ক্ষমতাচ্যুত করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল নয়। বাইডেন তা বলতেও চাননি। পুতিনকে ইউক্রেন বা অন্য কোনও দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের সুযোগ দেওয়া যাবে না, এটাই বোঝাতে চেয়েছেন বাইডেন। এখন দেখার, বাইডেন-পুতিন সম্পর্কের বরফ গলাতে কী ভূমিকা নেয় হোয়াইট হাউস।