জগৎবল্লভপুর: হাওড়ার তরুণী বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে তুলকালাম জগৎবল্লভপুর থানায়। থানার মধ্যেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের উপর চড়াও হয় মৃতার পরিবারের লোকজন। সঙ্গে ছিলেন প্রতিবেশীরাও। বাধা দিতে গেলে পুলিসের সঙ্গে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় মৃতার পরিবারের লোকজনের। তিন মহিলা পুলিস কনস্টেবল-সহ ১৪ জন পুলিসকর্মী জখম হন। মারামারির ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিস। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার স্বামী, শ্বশুর এবং শাশুড়িকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাদেরই থানার ভিতর ঢুকে মারধর করেন মৃতার পরিবারের সদস্যরা। পুলিস লাঠিচার্জও করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খায় পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জগৎবল্লভপুরের সিকিনরেন্দ্রপুর পূর্বপাড়ার বাসিন্দা বছর ২৫-এর সালমা খাতুনের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে গোলমালের সূত্রপাত। অভিযোগ, শ্বশুর বাড়িতে সালমাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। শ্বশুরবাড়ি থেকেই বসন্তপুরে সালমার বাড়িতে খবর দেওয়া হয়, তিনি গলায় দড়ি দিয়ে মারা গিয়েছেন। বাপের বাড়ির লোকজন ছুটে আসেন পূর্বপাড়ায় মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে। এসে তাঁরা দেখেন, মেয়ের দেহ ঝুলছে। গোলমাল শুনে প্রতিবেশীরাও হাজির হন।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: বাঁকুড়াতেও ১০০ দিনের কাজ নিয়ে মোদিকে বিঁধলেন মমতা
খবর দেওয়া হয় পুলিসে। পুলিস এসে স্থানীয় মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে পুলিস সালমার স্বামী বাবলু মল্লিক, শ্বশুর এবং শাশুড়িকে গ্রেফতার করে। তিনজনকেই থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, সালমার পরিবারের লোকজন প্রতিবেশীরা এরপর চড়াও হন জগৎবল্লভপুর থানায়। বাবলুদের থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলে। তিনজনকেই মারধরও করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন পুলিসকর্মীরাও।