দুর্গাপুর: রবিবার ঝড়-বৃষ্টিতে বিমান বিভ্রাটে জখমদের বেশিরভাগ লোককেই তাঁদের পরিবার নিয়ে গিয়েছে। বেশিরভাগের বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। বন্ডে সই করে তাঁদের বাড়ির লোকজন ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত একজন মহিলা অন্ডালের ডায়মন্ড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর বাড়ি আসানসোলের মহিশীলা কলোনিতে। অন্য একজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতালে।
রবিবার ঝড়-বৃষ্টিতে আচমকাই মাঝ আকাশে মুম্বই-অন্ডালমুখী বেসরকারি একটি বিমানে বিভ্রাট দেখা দেয়। যাত্রীরা প্রবল ঝাঁকুনি অনুভব করেন। বিমানের ভিতরে চিৎকার শুরু করেন যাত্রীরা। হঠাৎই লাগেজ ক্যাবিনেট ভেঙে পড়ে যাত্রীদের মাথায়। বিমান সংস্থা সূত্রে খবর, ১২ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। সংস্থার তরফে এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে। দুর্গাপুরে আহতদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানানো হয়।
এক যাত্রী জানান, যে সময় বিমানটি ঝড়ের কবলে পড়ে, ঠিক তখনই বিমানের পাইলট সিটবেল্ট বাধার বার্তা দেন। তখন খাবারের ট্রলির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে গুরুতর আহত হন ২ যাত্রী। যাত্রীদের অভিযোগ, বিপদ বুঝে আগেই সিটবেল্ট বাধার ঘোষণা করা উচিত ছিল। তবে বড় কোনও বিপদ হয়নি। বিমানটি নিরাপদেই শেষ পর্যন্ত অন্ডাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
আরও পড়ুন : Leopard Caught: ছাগলের লোভই কাল হল! অবশেষে খাঁচাবন্দি নকশালবাড়ির চিতাবাঘ
তবে, শুধু ঝড়-বৃষ্টি নাকি যান্ত্রিক গোলযোগ? ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা স্পষ্ট জানা যায়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে এয়ার টার্বুল্যান্স কিংবা ঝড়, বৃষ্টি, আবহাওয়ার পরিবর্তনের জেরে এই ধরনের ঘটনা হতে পারে। তবে পাইলট অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বিমানটিকে নামিয়েছেন। ফলে এড়ানো গিয়েছে বড়সড় বিপদ। ইতিমধ্যেই চেন্নাই-দুর্গাপুরের একটি ফ্লাইট অন্ডাল কাজি নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরে ৯টা ২০ মিনিটে নামার কথা থাকলেও খারাপ আবহাওয়ার জন্য বারাণসীতে অবতরণ করানো হয়।