মুকুটমনিপুর: প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার হল মুকুটমণিপুর জলাধারের জল ছাড়ায় তলিয়ে যাওয়া যুবকের মৃতদেহ। বুধবার সকালে মুকুটমণিপুর থেকে বেশ কিছুটা দূরে নদী খাতের এক পাশে জলে ভেসে ওঠে মৃতদেহটি। তা দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেয় পুলিসকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়। পুলিস জানিয়েছে মৃত যুবকের নাম চুরকু হেমব্রম।
মঙ্গলবার বিয়ে বাড়ি উপলক্ষে বর্ধমান থেকে মুকুটমণিপুর লাগোয়া বাঘজোড়া গ্রামে এসেছিলেন তিন যুবক। দুপুরে তিনজনে মিলে স্থানীয় কংসাবতী নদীতে স্নান করতে যান। স্নান করার সময় আচমকাই মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়ায় তিন জনই তলিয়ে যায়। সূত্রের খবর, নিয়ম অনুযায়ী একাধিকবার সাইরেন বাজিয়ে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষকে সতর্ক করে নদীতে জল ছাড়ে কংসাবতী কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:Malda: নদীর ভাঙনে নিশ্চিহ্ন বেশকিছু গ্রাম, বৃহস্পতিবার পরিদর্শনে সেচ দফতর
মঙ্গলবার দুপুর জল ছাড়ার আগে বাজানো হয়েছিল সাইরেন। দুপুর ২.৩০ মিনিট নাগাদ ছাড়া হয় পাঁচ হাজার কিউসেক জল। স্নান করতে যাওয়া তিনজনই বহিরাগত হওয়ায় সাইরেন শুনতে পেলেও তার অর্থ বুঝতে পারেনি ওই তিনজন। আচমকা নদীতে আসা জলে তলিয়ে যাওয়া তিন যুবকের মধ্যে দুজনকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। অপরজনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিস সূত্রে খবর পেতেই জল ছাড়ার প্রায় দুঘন্টা মাথায় জল ছাড়া বন্ধ করতে বাধ্য হয় জলাধার কর্তৃপক্ষ। পুলিস ও বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দফতর যৌথভাবে কংসাবতী নদীতে খোঁজ চালায়।