কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: মাঙ্কিপক্স এবার পর্তুগাল ও সুইডেনেও। ব্রিটেনের পর স্পেন আমেরিকাতেও কিছু মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের খবর মিলেছে। ছোঁয়াচে এই রোগ ধীরে ধীরে জাল বিছাচ্ছে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। যদিও গুটি বসন্ত জাতীয় এই রোগটি মূলত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় হয়ে থাকে। প্রথম বাঁদরের মধ্যে এই রোগটি দেখা যায় বলে এর নাম মাঙ্কিপক্স।
মাঙ্কিপক্সের ২টি প্রধান স্ট্রেনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। একটি হল, কঙ্গো স্ট্রেন, যাতে মৃত্যুহার ১০ শতাংশ। অপরটি হল, পশ্চিম আফ্রিকান স্ট্রেন, যাতে মৃত্যুহার মাত্র ১ শতাংশ। এই রোগটি খুবই কম হয়। এ বছরের আগে মাত্র ৮ বার মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত পর্তুগালে ৫ জনের, স্পেনে ২৩ জনের মধ্যে এই রোগে দেখা দিয়েছে। মার্কিন মুলুকে এই সংখ্যা এক।
আরও পড়ুন: AIIMS Job Scam: এইমস-এ প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ, কাঠগড়ায় বিজেপি বিধায়ক-সাংসদ, ক্ষোভ দলে
জীবজন্তুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছোঁয়াছুঁয়ি থেকেই হয়। তবে মানুষের সংস্পর্শেও এই রোগ হতে পারে। মার্কিন মুলুকে যাঁর হয়েছে, তিনি ৬ মে নাইজেরিয়া থেকে ফিরেছিলেন। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এই বিরল প্রজাতির ভাইরাসে সংক্রমণের কথা নিশ্চিত করেছে। এখানেও ৭ মে নাইজেরিয়া থেকে ব্রিটেনে আসা এক ব্যক্তির মধ্যে প্রথম এই রোগ শনাক্ত করা হয়।
ব্রিটেনের জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থার (UKHSA) তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক যে আক্রান্তদের তথ্য মিলেছে তাদের প্রত্যেকেই পুরুষ। শুধু তাই নয়, তাঁরা সমকামী কিংবা পুরুষের সঙ্গের কামে লিপ্ত হয়েছিলেন। এই কারণে ব্রিটেন সমকামী পুরুষদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। হঠাৎ মাঙ্কিপক্স বেড়ে যাওয়ার কারণ কী? বিজ্ঞানীরা মনে করছেন কোভিডবিধি উঠে যাওয়ার পরপরই বিদেশ ভ্রমণের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে। মানুষ এখন অবাধে বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যদিও বিজ্ঞানীরা এই রোগকে খাটো করে দেখছেন না। কারণ এটা জলবসন্ত গোত্রের অসুখ।
আরও পড়ুন: Anubrata Mandol: নিজাম প্যালেস থেকে এসএসকেএম, হল কী কেষ্টর?
মাঙ্কিপক্সের লক্ষণগুলি সাধারণত জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিতে ব্যথা, পিঠে ব্যথা, ঠান্ডা লাগা এবং ক্লান্তি থেকে শুরু হয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত দুই থেকে চার সপ্তাহ স্থায়ী হয় এবং সংক্রমণের পাঁচ থেকে ২১ দিনের মধ্যে যে কোনও জায়গায় উপসর্গ দেখা দিতে পারে। একবার মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে জ্বর হলে, প্রথমে বসন্ত রোগের মতোই একটি দুটি করে গুটি দেখা যায় শরীরে। এক থেকে তিন দিন পর তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মুখ থেকে শুরু হয়ে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে।