ওয়েব ডেস্ক: তীব্র গরমে বন্ধ মিড ডে মিল (Mid Day Meal)। ঘরের মধ্যেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে তিন তিনটে সেন্টারের শিশু শিক্ষা, ফ্যান থাকলেও তা বন্ধ রাখার নিদান সেন্টার শিক্ষিকার, একাধিক অভিযোগ নিয়ে বিক্ষোভ অভিভাবকদের। আবারও আইসিডিএস সেন্টারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। তীব্র গরমে নাজেহাল পড়ুয়ারা। অভিযোগ ফ্যান থাকতেও চালাতে দেন না আইসিডিএস কর্মী। এক পাশেই রান্না হচ্ছে কাঠের জালে, বদ্ধ ঘরে ধোঁয়া এবং বিপদজনক আগুনের পাশেই ছোট ছোট শিশুদের অবস্থান।
ঘটনায় আইসিডিএস কর্মীর বদলি চেয়ে এবং শিশুদের সুরক্ষা চেয়ে সোচ্চার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে অভিভাবকরা। ঘটনা নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের বেলঘড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চাঁপাতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। জানা যায়, এই বিদ্যালয়ে তিনটি আইসিডিএস সেন্টার চলে। সেখানেই ১১১ নম্বর আইসিডিএস সেন্টারের শিক্ষিকা মিঠুদেব শর্মা দীর্ঘদিন ধরে আইসিডিএস সেন্টার পরিচালনার ক্ষেত্রে উদাসীন এবং শিশুদের কোনরকম পদক্ষেপ নেয় না।
আরও পড়ুন: ফের বসিরহাটের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
একদিকে তীব্র গরম সেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয় তরফ থেকে ফ্যান চালানোর অনুমতি থাকলেও আইসিডিএস সেন্টারের শিক্ষিকা সেই ফ্যান চালান না। অপরদিকে, যেখানে পুষ্টিগত খাবার রান্না হয় তার ধোঁয়া এবং আগুন রীতিমতো অতিষ্ঠ করে তোলে পড়ুয়াদের। তবে এলাকাবাসীর একাংশ সেই ইলেকট্রিক খরচ বাবদ টাকা মেটাতে চাইলেও সে ক্ষেত্রে শিক্ষিকা নির্ধারণ করেছেন ১০০ টাকা, সরকারি আইসিডিএস সেন্টারে অভিভাবকদের বিদ্যুৎ বিল বাবদ ১০০ টাকা দেওয়া নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।
অপরদিকে, অন্যান্য আইসিডিএস সেন্টারে শিক্ষিকারা এলাকার মেম্বার এবং গ্রামবাসী যার সিদ্ধান্ত নেবে সেদিকেই মান্যতা দিয়েছেন। তবে এই ১১১ নম্বর সেন্টারের আইসিবিএস শিক্ষিকা মিঠুদেব শর্মার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এলাকাবাসীর। তারা জানান, শিশুরা বিদ্যালয়ে আসলে তাদেরকে ঠিক মতো দেখভাল তো দূরে থাক কেউ যদি বাথরুম পায়খানা করে ফেলে তাদেরকে স্কুলে আসতে না যাওয়ার নিদান দেন এই আইসিডিএস কর্মী। এমনকি বাচ্চাদের পায়খানা প্রস্রাব পেলে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় , অথচ সহকারি শিক্ষিকা রয়েছে। পুষ্টিকর খাবার ঠিকমতো পৌঁছায় না শিশুদের।
গর্ভবতী মায়েদের নিয়ে যে সমস্ত অনুষ্ঠান বিভিন্ন আইসিডিএস সেন্টারে হয় তার কিছুই এই ১১১ নম্বর সেন্টারে হয় না। পুরোপুরি নিজের গায়ের জোরে শিশুদের স্বাস্থ্য এবং পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত রাখছেন অভিযুক্ত আইসিডিএস কর্মী। অবিলম্বে এই আইসিডিএস কর্মীকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করতে এবার রীতিমতো সোচ্চার হয়েছে এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য থেকে শুরু করে গ্রামবাসীরা। স্থানীয় মেম্বার জানান, বিষয়টি শিশুদের তাই একজন শিক্ষিকা হিসাবে এতটা অমানবিক না হলেই পারতেন। তবে এলাকাবাসীদের পক্ষ থেকে সিডিপিও শান্তিপুর থানা এমএলএ এবং বিডিও অফিসে যে অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে তাতে তিনি সম্মতি জানিয়েছেন।
দেখুন আরও খবর: