ইম্ফল: একসময় ছিলেন ফুটবলার। কর্মজীবনের একপর্যায়ে বিএসএফ জওয়ান হিসেবে মণিপুর সীমান্তে দায়িত্ব সামলেছেন। আবার কলম হাতে চুটিয়ে সাংবাদিকতাও করেছেন। সেই নোঙ্গথোম্বম বীরেন সিংকেই (Manipur CM N Biren Singh) দ্বিতীয় বারের জন্য মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিলেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা। মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রী (Manipur Chief Minister) কে হবেন, তা নিয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত জল্পনা ছিল। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ও কিরেন রিজুজুকে ইম্ফলে পাঠানো হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তাঁরা বীরেন সিংয়েই সিলমোহর দেন।
গেরুয়া শিবিরের একটি সূত্রে খবর, এ দিন দুপুরে ইম্ফলের বিজেপি সদর দফতরে কেন্দ্রীয় দুই পর্যবেক্ষকের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। সেখানেই বিজেপি-র বিধানসভার দলনেতা হিসেবে বীরন সিংয়ের নাম চূড়ান্ত হয়।
১০ মার্চ ফলপ্রকাশের দিনই মণিপুরে সরকার (Manipur BJP Govt Formation) গঠন নিশ্চিত করে ফেলেছিল বিজেপি৷ রাজনৈতিক মহল ধরেই নিয়েছিল বীরেন সিং-ই দ্বিতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। কিন্তু বীরেন বিরোধী শিবিরের প্রবীণ নেতা টি বিশ্বজিতের ঘনঘন দিল্লিতে ডাক পড়ায় মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী ধন্দ বাড়ে। এরই মধ্যে শনিবার এন বীরেন সিং এবং টি বিশ্বজিৎকে একসঙ্গে দিল্লিতে তলব করে শীর্ষ নেতৃত্ব৷ বীরেন বিরোধী গোষ্ঠী দাবি করে, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে বিশ্বজিৎ৷ দুই গোষ্ঠীর এই বিরোধের নিষ্পত্তি করতেই রবিবার ইম্ফলে পাঠানো হয়েছিল দুই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষককে।
আরও পড়ুন: Holi in Pakistan: পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে হোলিতে মাতলেন হিন্দুরা
আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে মণিপুরে আগের বার সরকার গঠন করেছিল বিজেপি৷ সেই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বীরেন সিং৷ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পুরো মেয়াদ সম্পূর্ণ করেছিলেন বীরেন৷ তাঁর নেতৃত্বে বিজেপি বিধানসভা নির্বাচনে নামে এবং বিপুল আসনে জয়লাভ করে৷ দ্বিতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কবে তিনি শপথ নেবেন, তা এখনও স্থির হয়নি।