উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে মঙ্গলবার রাতে গত বারের রানার্স ম্যাঞ্চেস্টার সিটি নিজেদের মাঠে খেলবে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে। ওই দিনই লিভারপুল খেলবে বেনফিকার সঙ্গে। ম্যাচটি হবে লিসবনে।
পেপ গুয়েরদিওলার ম্যাঞ্চেস্টার সিটি এই মুহুর্তে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এক নম্বরে রয়েছে। শেষ পর্যন্ত তারা হয়তো চ্যাম্পিয়ন হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। ব্যাক্তিগতভাবে পেপের কাছেও এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। লিওনেল মেসিদের নিয়ে বার্সেলোনাকে তিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন। কিন্তু বায়ার্ন মিউনিখকে ইউরোপ সেরা করতে পারেননি। তাই এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ তাঁর কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। প্রথম ম্যাচে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সামনে তাঁর সিটি কী রকম খেলে তার দিকে লক্ষ্য এখন গোটা ফুটবল দুনিয়ার। দিয়োগে সিমিওনের অ্যাটলেটিকো বেশ কড়া দল। ২০১৪ এবং ২০১৬–দু বার ফাইনাল খেলে তারা দু বারই হেরে গেছে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে। এবার তারাও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অন্যতম দাবিদার।
দলগত শক্তির বিচারে মঙ্গলবার ঘরের মাঠে একটু হলেও এগিয়ে রাখতে হবে ম্যাঞ্চেস্টার সিটিকে। গত ডিসেম্বরের পর থেকে তারা কোনও ম্যাচ হারেনি। তবে তারা পূর্ণ শক্তি নিয়ে নামতে পারছে না। ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার সাসপেনশনের জন্য এই ম্যাচে নেই। আরেক ডিফেন্ডার রুবেন ডায়াসের চোট। তবে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের ডিফেন্ডার জন স্টোনস কে পাবে সিটি। পাশাপাশি তাদের সামনের দিকে ফরোয়ার্ডরা মজুত। বার্নাডো সিলভা, রড্রি, কেভিন দে ব্রুইন, রিয়াদ মাহেরাজ, ফিল ফডেন এবং রহিম স্টার্লিং মাঠে থাকবেন শুরু থেকেই। গোলে থাকবেন ব্রাজিলিয়ান এডেরসন। প্রথম একাদশের সবাইকে পাচ্ছে না অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদও। ডিফেন্ডার হোসে মারিয়া গিমিনেজের চোট। সাসপেনশনে আছেন ইয়ানিক কারেকো। আবার হেক্টর হিয়েরার চোট। তবে কোকে, অ্যাঞ্জেল কোরিয়া, অ্যান্টনি গ্রিজম্যান কিংবা জোয়াও ফেলিক্সকে পাবে অ্যাটলেটিকো। কদিন আগেই তারা ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে তাদের মাঠে ১-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠৈছে। তাই লাল ম্যাঞ্চেস্টারকে হারাবার পর নীল ম্যাঞ্চেস্টারকে হারাতে তারা যে নিজেদের সবটুকু দিয়ে লড়াই করবে তা বলাই যায়। মনে রাখতে হবে লা লিগা সহ গত ছটি ম্যাচে তারা অপরাজিত।
মঙ্গলবার রাতের অন্য ম্যাচে লিভারপুল মুখোমুখি হবে বেনফিকার। লিসবনের এই ম্যাচে জুরগেন ক্লপের লিভারপুল অনেকটাই এগিয়ে। তাদের তিন ভয়ঙ্কর ফরোয়ার্ড মহম্মদ সালাহ, সাদিও মানে এবং রবের্তো ফিরমিনোর জন্য লিভারপুলকে ফেভারিট ধরাই যায়। মাঝ মাঠে নেবি কিয়েটা চোট সারিয়ে ফিরে আসায় লিভারপুলের শক্তি আরও বেড়েছে। গোলে আলিসন বেকার অন্য বারের মতোই ভাল ফর্মে। মাঝ মাঠে ফাবিনহো, থিয়াগো, হেন্ডারসন, অক্সেল্ড চেম্বারলিন থাকায় লিভারপুলের টিমের ভারসাম্য বেশ ভাল। বেনফিকাকে হারানো তাই তাদের পক্ষে কঠিন না হওয়ারই কথা।