কালনা: কালনা থানার নান্দাই পঞ্চায়েতে দুপসা গ্রামে বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ। প্রতিবন্ধী এবং ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালানো ব্যক্তিরও প্রাপ্য টাকা আত্মসাৎ। শুধু তাই নয়, অভিযোগ না জানানোর হুমকিও দেওয়া হয়। এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ঢি ঢি পড়ে যায় এলাকায়।
দিন আনা, দিনখাওয়া গরিবগুর্বো মানুষের আবাস যোজনার টাকাও আত্মসাৎ। অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূল কর্মী ও ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই পাঁচটি অভিযোগ জমা পড়েছে বিডিও সেবন্তী বিশ্বাসের কাছে। তদন্ত শুরুর আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও। যদিও অভিযুক্ত সুপারভাইজারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
বিডিও সেবন্তী বিশ্বাস
আরও পড়ুন:WB Weather Forecast: কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখী
নান্দাই পঞ্চায়েতের দুপসা গ্রাম। এই গ্রামেরই যুবক মহসিন মণ্ডল। জন্ম থেকে ঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। বাবা পক্ষাঘাতগ্রস্ত। বাবাকে সঙ্গে করে বৃহস্পতিবার বিডিওর কাছে এসে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দিয়ে গেলেন। মহসিনের অভিযোগ, মাসখানেক আগে তৃণমূলের কয়েকজন এসে বলে, আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরি করে দেবে সরকার। এই বলে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, ব্যাঙ্কের পাসবইয়ের প্রতিলিপি নিয়ে গিয়েছিল। পরে জানতে পারি, ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা তাঁর বদলে, চলে গিয়েছে অন্যের অ্যাকাউন্টে। তাঁরা ভাবতেও পাচ্ছেন না— ভিক্ষাবৃত্তি করে যাঁদের সংসার চলে, তাঁদের টাকাও এইভাবে কী করে আত্মসাৎ করতে পারে। এই নিয়ে অভিযোগ জানাতে বিডিওর কাছে আসার আগে ফোনে হুমকি দেয় অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন:Behala parnashree: নিজের জমিতে বাড়ি করতে বাধা মহিলাকে, পুলিসি ‘সক্রিয়তা’র নেপথ্যে প্রোমোটারিরাজ?
অন্যদিকে নান্দাই পঞ্চায়েতের আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা এক তরুণী বিডিওর কাছে একই অভিযোগ জানিয়েছেন। নিজের নামে বরাদ্দ টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সাইবানু বিবিরও ঘর বলতে কিছুই নেই। কোনও রকমের কাপড় টাঙিয়ে বাস করেন। বৃষ্টি এলে ঘরের বারান্দায় গিয়ে থাকেন। তাঁরও একই অবস্থা। আবাস যোজনার ১ লাখ ২০ হাজার টাকা অন্যত্র চলে গিয়েছে।
এ বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান ঝুমুর ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। পঞ্চায়েত সদস্য অপর্ণা সাঁতরার সঙ্গে কথা বললে তিনি কিছুই জানেন না। তবে এখন দেখার বিডিওর হস্তক্ষেপে এই পরিবারগুলি তাঁদের টাকা ফেরত পান।