ঝালদা: ঝালদা কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় দুজনকে রবিবার জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। তবে পুলিস সূত্রে দাবি, এই ঘটনায় আরও দু-তিনজন যুক্ত আছে। তার মধ্যে রয়েছে ভিন রাজ্যের ২ জন রয়েছে। তাদের খোঁজে ২ তদন্তকারী দল খোঁজ চালাচ্ছে।
ভাইয়ের কাছে নিজের ছেলের ভোটে হারার পর এই খুনের চক্রান্ত করেন নরেন কান্দু। শরণাপন্ন হন ঝালদা গ্রামের বাসিন্দা আসিক খানের কাছে। তার মাধ্যমে ঝাড়খণ্ডের জরিডি থানার বাসিন্দা কলেবর সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কলেবর সিং যোগাযোগ করে বিহারের ২ শুটারের সঙ্গে তাদের নিয়ে ডেরা বাঁধে কুটিডি গ্রামে। গোকুলনগর গ্রামের অদূরে মোটরসাইকেলে আশা ৩ দুষ্কৃতীর গুলিতে লুটিয়ে পড়েন তপন। জানা যায় গুলি চালানোর পরে ওই গ্রামেই ৩ দিন ছিলেন এই দুষ্কৃতীরা।
আরও পড়ুন: Bhadu Sheikh Murder: ভাদু শেখ খুনের অভিযুক্ত পলাশ শেখের বাড়ির পিছন থেকে উদ্ধার বোমা
ঘটনার পর বেশ কয়েক দিন কেটে গেলও পুলিস কোনও কিনারা করে উঠতে পারছিল না। তারপর ঝাড়খণ্ড ও বিহারের দুষ্কৃতীদের খোঁজ নেওয়া শুরু করে। মোবাইল নম্বর নিয়ে তাদের উপস্থিতি জানার চেষ্টা করা হয়। মোবাইলের টাওয়ার ডাম্পের মাধ্যমে দেখা যায় খুনের দিন ও পরে বেশ কয়েকদিন কলেবর সিংয়ের উপস্থিতি রয়েছে কুটিডি গ্রামে। দেখা যায় কুটিডি গ্রামের বাসিন্দা পেশায় ধূপ বিক্রেতা আশিক খানের বাড়িতে ছিলেন কলেবর। আশিক খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর কলেবরের খোঁজ পায় পুলিস। ঝাড়খন্ডের জরিডি থানা এলাকার বাসিন্দা কলেবর সিংকে গ্রেফতার করে সিট। নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর তাঁর কাছ থেকেই গোটা বিষয়টি জানা যায়। তারপরেই নরেন ও আশিককে দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা জেরা করার পর শনিবার সন্ধ্যায় তাদের গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার ২২ দিনের মাথায় গোটা রহস্যের কিনারা করল জেলা পুলিসের গঠিত সিট।