রাওয়ালপিন্ডি: কৃষ্ণ মন্দিরে পুজো শেষ করেই পুরোহিত ‘হোলি হ্যায়’ বলে চিৎকার করে ওঠেন৷ সঙ্গে সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়ের শ’য়ে শ’য়ে মানুষ একে অপরকে বিভিন্ন রঙে রাঙিয়ে দিতে শুরু করলেন। তাঁরা সদরের কৃষ্ণ মন্দিরের চত্বরে রং ও আলোর উৎসব উদযাপন করতে উপস্থিত হয়েছিলেন৷ তার আগে পুরোহিত জয় রামের নেতৃত্বে প্রার্থনা সারেন সকলে। তাঁদের এই উৎসবে ইসলামাবাদের মুসলিমরাও অংশ গ্রহণ করেন৷ অনুষ্ঠানটি দুর্গাপুজো দিয়ে শুরু হলেও পাকিস্তানে শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা হয়৷
রঙের উৎসবে অশান্তি এড়াতে পুলিস প্রশাসনের তরফে নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়৷ উৎসবে শামিল শিখ-হিন্দু মা-ভাইবোনদের জন্য ট্র্যাফিক পুলিস ছোট বাজার এবং কোলা কেন্দ্র থেকে কৃষ্ণ মন্দির পর্যন্ত রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল৷ মন্দিরের দিকে যাওয়া লোকজনের উপর কড়া নজরদারির ব্যবস্থায় নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল।
Traffic police had closed roads from Chota Bazaar and Kola Centre to Krishna Temple for security whereas security personnel were deployed in the area to keep an eye on people heading towards the temple.https://t.co/k9gx2OQ3L8
— Dawn.com (@dawn_com) March 20, 2022
শুধু রং খেলা নয়৷ প্রথা মেনে মিষ্টি ও দুধ বিতরণ করা হয়৷ পুরোহিত জয় রামের মতে, লাল, হলুদ, সবুজ, গোলাপী এবং নীল রঙগুলি ফল এবং শাকসবজি দিয়ে তৈরি করা হয়৷ তিনি বলেন, ‘‘শান্তি ও সম্প্রীতির পাশাপাশি দেশ ও জনগণের সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।’’
আরও পড়ুন: Pakistan explosions: শিয়ালকোটে একাধিক বিস্ফোরণ, জ্বলছে আগুন
পাকিস্তান হিন্দু-শিখ সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সরদার হীরা বলেন, “সকল হিন্দু ও শিখ আমাদের দেশকে রক্ষা করার জন্য একত্রিত হয়েছেন।’’