কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যখন সংখ্যালঘুদের উপর নানা আক্রমণ নেমে আসছে, তখন কর্নাটকের মাইসোরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির দেখা গেল। জয়াম্মা নামে এক হিন্দু বৃদ্ধার শেষকৃত্য সারলেন প্রতিবেশী মুসলিম যুবকরা। এটাই জয়াম্মার শেষ ইচ্ছে ছিল। শুক্রবার ঘৌসিয়ানগরের ওই ঘটনা দেখে তাজ্জব সকলে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই হিন্দু পরিবারটি ওই মহল্লায় প্রায় ৪০ বছর ধরে বাস করছে। এলাকায় বহু মুসলিম পরিবারেরও বাস। সাম্প্রদায়িক হানাহানির জন্য কুখ্যাতি রয়েছে গ্রামটির। সেই গ্রামে এই রকম সম্প্রীতির নজির নজর কেড়েছে সকলের।
বৃদ্ধা জয়াম্মা বেশ কিছুদিন ধরে বিছানায় শয্যাশায়ী ছিলেন। তাঁর ছেলে জানান, মা বলেছিলেন, আমি মারা গেলে আমার এই মুসলিম ছেলেরাই আমার শেষকৃত্য করবে। ওই পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী মুসলিম পরিবারগুলির খুবই ভালো সম্পর্ক। একে অপরের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: Bomb Recovered: হরিদেবপুরে প্রচুর বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, বড় কিছুর ছক ছিল কি
শুক্রবার ইফতারের আগে নামাজের ব্যস্ততা ছিল। স্থানীয় মুসলিমরা জানান, নামাজের পর তাঁরাই জয়াম্মার শেষ কাজ করবেন। তাঁরা নামাজ পড়ার পর জয়াম্মার শেষ কাজের সমস্ত দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। জয়াম্মার ছেলে বলেন, আমি যে কী বলে তাঁদের ধন্যবাদ দেব, বুঝতে পারছি না।
সমাজতত্ত্ববিদরা বলছেন, এটাই ভারতের সংস্কৃতির আসল চিত্র। রাজনৈতিক দলগুলি তাদের স্বার্থে ধর্মীয় ভেদাভেদ করে, মেরুকরণের চেষ্টা করে। এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, সাধারণ মানুষই ধর্মীয় হানাহানির উপরে উঠে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিতে পারে।
গ্রামের বাসিন্দারা জানান, জয়াম্মার পরিবার বিখ্যাত নয়। আবার প্রতিবেশী মুসলিম পরিবারগুলিও একেবারেই সাধারণ। তারা যেভাবে জয়াম্মার শেষ ইচ্ছা পূরণ করল, তা অতুলনীয়।