হাঁসখালি: হাঁসখালিতে ধর্ষণের পর নিহত নাবালিকার বাবা-মা এবং এক গ্রামীণ চিকিৎসক, যিনি সেই রাতে কিশোরীকে ওষুধ দিয়েছিলেন, তাঁকে পুলিস আজ রানাঘাট আদালতে গোপন জবানবন্দি দিতে নিয়ে গেল। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকার বাবা-মা কেন এতবড় ঘটনার পরও পুরো বিষয়টি চেপে গিয়েছিলেন তা জানাতে পারেন। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তাঁরা পুরো ঘটনাটির বিবরণ দিতে পারেন।
একইসঙ্গে অভিযোগ ওই গ্রামীণ ডাক্তার নাবালিকাকে না-দেখেই ওষুধ দিয়েছিলেন। কোন চাপের মুখে নাবালিকার মৃত্যুর পর আত্মীয়স্বজনদের খবর না দিয়ে ভোররাতে স্থানীয় একটি শ্মশানে তাকে দাহ করা হয়। যে শ্মশানটি সরকার স্বীকৃতও নয়। এমনকী ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই মৃত-ধর্ষিতা কিশোরীকে দাহ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় গোড়া থেকেই পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সেইসব রহস্যেরই উন্মোচন হতে পারে সোমবার।
আরও পড়ুন:Milan Mela Reopen: নবরূপে সেজেছে মিলন মেলা প্রাঙ্গন, সোমবার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী
এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন হাঁসখালিতে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। বনধে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সকাল থেকেই বন্ধ ছিল দোকানপাট। বগুলা বাজার এলাকায় কিছু দোকান বন্ধ, কিছু খোলা। সেখানে অটো-বাস সবই চলছে। তবে বেশকিছু জায়গায় বেলা বাড়তেই খুলছে বাজারহাট। অপরদিকে, গাজনা পঞ্চায়েত এলাকায় ভালোই সাড়া পড়েছে। এখনও পরিস্থিতি থমথমে। হাঁসখালির বিভিন্ন এলাকায় পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে।
গত ৪ এপ্রিল নাবালিকাকে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ভোররাতে মৃত্যু হয় তার। পরিবারের অভিযোগ, নাবালিকাকে সরকারি বা বেসরকারি কোনও হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। মেয়ের মৃত্যুর পর জোর করে দেহ স্থানীয় শ্মশানে দাহ করিয়ে দেন ওই তৃণমূল নেতা এবং তাঁর দলবল।
আরও পড়ুন:Hanskhali Rape: বিজেপির ডাকা হাঁসখালি বনধে মিশ্র সাড়া
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরও পুলিস দ্রুত পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। অভিযুক্তকে আটক করার বহুক্ষণ পর গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গোয়ারীকে। হাঁসখালি এক নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্য সমর গোয়ারীর ছেলে ব্রজগোপাল। স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই নাবালিকার সঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।