হাঁসখালি: উনুন রয়েছে। আগুন নেই, আগুন ধরানোর মানুষও নেই। যেমন-তেমন করে পড়ে রয়েছে হাঁড়িকুড়ি। ছিটেবেড়ার ঘরটা বাইরে থেকে দেখে মনে হবে ভুতুড়ে হয়ে গিয়েছে দুদিনেই। জনমনিষ্যি নেই। অথচ এই ঘরে একটা হাসিখুশি পরিবার বাস করত। হাঁসখালির নির্যাতিতার বাড়ির সামনে গিয়ে এই দৃশ্যই ভেসে উঠল।
সোমবার আদালতে জবানবন্দি দিতে গিয়েছিলেন নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা-মা। সেই সময় বাড়ি যে অবস্থায় ছিল, রান্নার জিনিসপত্র— সব সেভাবেই পড়ে ছিল সারারাত। তাঁদের বাড়িতে আর দেখতে পাওয়া যায়নি। বেলা দশটার পর চাইল্ড লাইনের সদস্যরা নির্যাতিতার বাড়িতে আসতেই দেখা মিলল বাবা-মার। তবে অদ্ভুতরকম ভাবে মুখে একদম কুলুপ এঁটেছেন তাঁরা। কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন না। শুধু একবার বাবা বললেন, দোষীদের শাস্তি চাই। এর বেশি কিছু নয়। এমনকী চাইল্ড লাইনের সদস্যরা এলেও তাঁরা সাংবাদিকদের কাছে মুখ খোলেনি।
আরও পড়ুন: Jhalda Murder Eyewitness: কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন-মৃত্যু তদন্তে সিবিআই
এদিকে, প্রভাকর পোদ্দার নামে যাকে সোমবার রাতে হাঁসখালি থানার পুলিস গ্রেফতার করেছে, তার বাড়ি গাজনা পঞ্চায়েতেরই গাড়াপোতা পূর্বপাড়ায়। সে একদিকে সোহেলের বন্ধু এবং আত্মীয়তার সম্পর্কও রয়েছে। সোহেল ও প্রভাকর মামাতো-পিসতুতো ভাই। ঘটনার পর থেকেই তাদের বাড়িতে তালা। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন ও পড়াশুনা করত, কীভাবে এ ঘটনা ঘটল, তাঁরা ভাবতে পারছেন না।