কল্যাণী: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের খাতে স্বাস্থ্য ভবনের কাছে আড়াই কোটি টাকা পাওনা খোদ সরকারি হাসপাতালের। টাকার অভাবে সরবরাহ বন্ধের মুখে নদিয়ার হৃদরোগ চিকিৎসার একমাত্র কেন্দ্র কল্যাণীর গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতাল। টাকা দিতে পারছে না বলে কলকাতার বিভিন্ন সংস্থা ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ওই হাসপাতালে। ফলে চরম সংকটে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নদিয়া জেলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ হৃদরোগের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসার জন্য ছুটে আসেন কল্যাণীর গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে। কিন্তু যথাযথ পরিষেবা মিলছে না বলে অভিযোগ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ফান্ডের অভাবে পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যারা হাসপাতালে বিভিন্ন মেডিক্যাল সরঞ্জাম সরবরাহ করে, তাদের পাওনা টাকার পরিমাণ দিন দিন বেড়ে চলেছে।
এমনকি, ওষুধ সরবরাহকারী ভেন্ডর প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা পায় হাসপাতালের কাছে। ভেন্ডররা বলছেন, টাকা না পেলে ওযুধ সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। তবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ওষুধ সাধ্যমতো দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, গত ২৩ দিনে ১১৪টি অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করা হয়েছে। ২৫টি টেম্পোরারি পেসমেকার বসানো হয়েছে। পার্মানেন্ট পেসমেকার বসানো হয়েছে ১৬টি। স্টেন্ট বসানো হয়েছে ১২টি।
আরও পড়ুন: TET Agitation: প্রাথমিকে চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল করুণাময়ীতেই আটকাল পুলিস
হাসপাতালের এক আধিকারিক জানান, এই মুহূর্তে অ্যাঞ্জিওগ্রাফি, পেস মেকার, স্টেন্ট বসানোর ক্ষেত্রে অসুবিধে হচ্ছে না ঠিকই। তবে কতদিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে বলা যাচ্ছে না।এখন আউটডোর এবং ইন্ডোরে রোগীদের ক্ষেত্রে অনেক ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে ওষুধ না মেলায় রোগী ও রোগীর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।