কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের মুখে সপাটে এক চড়। না, সত্যি কোনও ঘটনা নয়। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর দলের পরাজয়ে বাম ঘেঁষা লিবারেশন ডেইলি এই মন্তব্য করেছে। দেশের লেজিসলেটিভ ভোটে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ত্রিশঙ্কু হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় সবথেকে বিপদে পড়েছেন খোদ প্রেসিডেন্ট। ভোটের ফলে দেখা যাচ্ছে, ম্যাক্রোঁর জোট পেয়েছে ২৪৪টি আসন। কিন্তু, অ্যাসেম্বলিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে প্রয়োজন ২৮৯টি আসন। এই অবস্থায় ম্যাক্রোঁ ও তাঁর জোট অথই জলে পড়েছে। ম্যাক্রোঁর জোটকে আস্থাভোটে জিতলে হলে বিরোধীদের কাছে মাথা নিচু করে নতুন করে জোট-বন্ধুত্বের হাত বাড়াতে হবে। যা এককথায় অলীক কল্পনা। সব মিলিয়ে ফ্রান্স রবিবারের ভোটের পর সাংবিধানিক সঙ্কটে পড়েছে, কয়েক দশকের মধ্যে যা ঘটেনি।
ম্যাক্রোঁর জোটের এই নিদারুণ পরাজয়ে গোটা দেশ রাজনৈতিক পঙ্গুত্বে পরিণত হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। ফ্রান্সের অবসরকালীন বয়স বাড়িয়ে ৬৫ করার নীতিই তাঁর ভরাডুবি ডেকে এনেছে বলে মনে করেন অনেকে। বাম জোট বর্তমান আসন সংখ্যার বিন্যাসে প্রধান বিরোধী জোট হিসাবে মাথাচাড়া দিয়েছে। অন্যদিকে, কট্টর ডানপন্থীরা এই ভোটে বিপুল সংখ্যায় আসন পেয়েছে। এই দোলাচলের মধ্যে একমাত্র কনজারভেটিভরাই শেষমেশ কুর্সিতে কে বসবে, তা ঠিক করতে পারে।
আরও পড়ুন: Syrian soldiers killed: সিরিয়ায় সামরিক বাসে জঙ্গিহানা, মৃত ১৩
সব থেকে বড় সমস্যা হল, এই অবস্থায় কী করণীয় তা ফ্রান্সের সংবিধানে কোনও উল্লেখ নেই। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্ন বলেন, এই ফল দেশের ভবিষ্যতের পক্ষে ভয়ানক বিপজ্জনক। সোমবার থেকেই ম্যাক্রোঁর দলের নেতারা এই জটিলতা কাটানোর উপায় বের করতে নেমে মাঠে নেমে পড়েছেন।