কলকাতা: তিন বছরের মধ্যে ফের বউবাজারে মেট্রোর কাজের জন্য একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরায় ক্ষুব্ধ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর প্রশ্ন, একবার বিপর্যয়ের পরও কী করে একই ধরনের পুনরাবৃত্তি হল? তাহলে কি ধরে নিতে হবে, কেএমআরসিএল যথাযথ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়নি? যদিও কেএমআরসিএলের দাবি, সবরকমের সতর্কতামূলক ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও কেন সুড়ঙ্গে জল ঢুকল, তার বিস্তারিত তদন্ত হবে।
শুক্রবার মেয়র সাংবাদিক বৈঠকে জানান, এলাকার মাটি পরীক্ষা, ফাটলধরা বাড়িগুলির স্বাস্থ্যপরীক্ষা, সমীক্ষার ডিজাইন-সহ একাধিক বিষয়ে কেএমআরসিএলের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। কলকাতা পুরসভার বিশেষজ্ঞ কমিটি ওইসব রিপোর্ট খতিয়ে দেখে একটি বিশ্লেষণী রিপোর্ট তৈরি করবে। কলকাতা পুরসভার ওই কমিটিতে রয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দু’জন অধ্যাপক-সহ পুরসভার বিল্ডিং,সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং দফতরের আধিকারিকেরা।
মেয়র জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর জন্য কী কী করা যায়, তা নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে-র সঙ্গে কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে আলোচনায় বসবেন। ফিরহাদ আরও জানিয়েছেন, বউবাজারের আরও গোটা দশেক বাড়ি থাকার উপযুক্ত নয়। সেগুলি ভঙে ফেলতে হবে নাকি মেরামত করলেই হবে, তা খতিয়ে দেখতে হবে ইঞ্জিনিয়ারদের। তিনি বলেন, বেশ কিছু মানুষ এখনও বউবাজারে জোর করে থেকে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Pocso Court: শিশু নির্যাতনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পকসো আদালতের
কলকাতা পুরসভা বউবাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দায়িত্ব দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে। বউবাজারে মেট্রো রেলের কাজের জন্য কী কী সমস্যা হচ্ছে এবং বর্তমানে কী পরিস্থিতি তা দেখবেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা। ওই বিভাগের কাছে দ্রুত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।
মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা দু-একদিনের মধ্যে সমস্ত কাগজপত্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের হাতে তুলে দেবে। এক কেএমআরসিএল কর্তা জানান, শিয়ালদহ থেকে বউবাজার পর্যন্ত টানেল তৈরি হয়ে গিয়েছে। ধর্মতলা থেকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের মধ্যে মাত্র ৯ মিটারের কাজ বাকি রয়েছে। এই দুর্ঘটনা না ঘটলে আগামী ১০ দিনের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যেত।