নয়াদিল্লি: সোমবার দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। কলকাতার এক কোম্পানির সঙ্গে হাওয়ালার মাধ্যমে অর্থিক লেনদেনের অভিযোগে এই তল্লাশি অভিযান বলে জানা গিয়েছে। এদিন সকালে ইডির বেশ কয়েকজন আধিকারিকরা সত্যেন্দ্র জৈনের বাড়িতে তল্লাশি চালায়।
উল্লেখ্য, দিল্লি আদালত হাওয়ালার লেনদেনে জড়িত থাকার একটি মামলায় সত্যেন্দ্র জৈনকে ৯ জুন পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। হাওয়ালার লেনদেনে জড়িত থাকায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের কারণে ইডির হেফাজতে থাকা প্রয়োজন। আম আদমি পার্টির এই মন্ত্রীকে আর্থিক প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার অভিযোগ, একটি ভুয়ো মামলায় গত ৮ বছর ধরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সত্যেন্দ্র জৈনকে হেনস্তা করছে। বহু বার তাঁকে তলব করা হয়েছে। তিনি হাজিরাও দিয়েছেন। কিন্তু ইডি সন্দেহজনক কিছুই পায়নি। বর্তমানে তিনি হিমাচলপ্রদেশের ভোটে আম আদমি পার্টির দায়িত্ব পেতেই তাঁকে রাজনৈতিক উদ্দেশে গ্রেফতার করা হয়েছে। মণীশের দাবি, এই মামলার ভিত্তি নেই। মামলাটি আদতে ধোপে টিকবে না। কিছুদিনের মধ্যেই ছাড়া পেয়ে যাবেন তিনি।
আরও পড়ুন: Uttarakhand Accident: উত্তরাখণ্ডের বাস দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ২৬, আশঙ্কাজনক ৪
ইডির তরফে জানানো হয়েছিল, এই আর্থিক প্রতারণা মামলায় জৈন পরিবার ও কোম্পানির প্রায় ৪.৮১ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই মামলায় ২০১৮ সালেও সত্যেন্দ্র জৈনকে জেরা করা হয়েছিল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছিলেন, গোয়েন্দা রিপোর্টে পঞ্জাব ভোটের আগে সত্যেন্দ্রকে গ্রেফতার করা হবে। তবে, পঞ্জাব ভোটের আগে নয়। আপ পঞ্জাব দখলের পরেই গ্রেফতার করা হল কেজরিওয়ালের ক্যাবিনেটের এই হেভিওয়েট মন্ত্রীকে।