ও-ও-ও আয়রে ছুটে আয় পুজোর গন্ধ এসেছে। ঢ্যাম্ কুড়কুড়, ঢ্যাম্ কুড়াকুড় বাদ্যি বেজেছে। কাশের বন, আকাশে মেঘ-রোদ্দুরের খেলা আগমনীর বার্তা দিচ্ছে। শরতের আকাশ দেখলেই উৎসবের মেজাজ যেন দ্বিগুণ বেড়ে যায়। পুজো তো চলেই এল। আর দশদিন পর যে দুর্গাপুজোর মহাষষ্ঠী। কাউন্টডাউন শুরু। ঢাকে কাঠি পড়তে আর মাত্র দশ দিনের অপেক্ষা।
এক বছর আগে তুলে রাখা ঢাক নামিয়ে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ঢাকিরা। করোনা অতিমারিতেই উৎসবের আমেজ।ঢাকের চামড়া রোদে শুকিয়ে টান টান করে বেঁধে নিচ্ছেন ঢাকগুলো।করোনা যে উৎসবের আমেজকে ফিরে করে দিয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সারাবছর তাঁদের টুকটাক বায়না হলেও দুর্গা পুজোতে তাঁদের আয় ভালোই হয়। হায়দরাবাদ, নাগপুর, সিকিম, অসম থেকেও ঢাক বাজানোর ডাক আসে। অনেকে তো শিয়ালদহ স্টেশন থেকেও বায়না পেয়ে যায়। ঢাকের কাঠিতে কে কীরকম বোল তুলতে পারে তার উপর কলকাতার বড় পুজোয় ঢাকের বরাত জোটে।তাই পুজোর এই চারদিনের দিকে তাঁরা তাকিয়ে থাকেন সারা বছর।
পুজো মানেই ঢাকের তালে ধুনুচি নাচ। দুর্গাপুজোর সঙ্গে ঢাকের বাদ্যির সম্পর্ক যেন অপরিহার্য। তাই প্রতিবছর পুজোর বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই বিভিন্ন ঢাকি পাড়ায় শুরু হয়ে যেত ঢাকের মহড়া। তুমুল ব্যস্ততায় দিন কাটত ঢাকিদের। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বায়না আসত। বদলে গিয়েছে সেই সব দিন।
বছরটা শুরু থেকেই যেন বিষণ্ণতায় মোড়া। পুজো নিয়ে মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাসও বেশ কম। জাঁকজমক কম হলেও নিয়ম মেনে পুজো হবে কলকাতা সহ গোটা রাজ্যেই। বিপাকে পড়ছেন ঢাকিরা। অন্যান্যবার পুজো কমিটিগুলোর থেকে বায়না চলেই আসে। এখনও অধিকাংশ ঢাকির কাছে পুজোর বায়নাও আসেনি।তবুও প্রথা মেনে ঢাকে সিঁদুরের প্রলেপ লাগিয়ে দেবীর আগমনের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন।