ভাঙড়: হাই প্রোফাইল তারকা কিংবা নেতা-মন্ত্রী নয়। ওরা কেউ একশো দিনের কর্মী, কেউ অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার অতিবাহিত করেন। কেউ আবার সকাল বিকেল বাজারে বাজারে ভিক্ষাবৃত্তিও করেন পরিবারের জন্য। এবার তাঁদেরকে দিয়েই শারদীয়া দুর্গা পুজোর উদ্ধোধন করাল লাঙলবেঁকী সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। তাঁদের হাত ধরেই ঘরে এল মহামায়া।
পঞ্চমীতে লাঙলবেঁকী বারোয়ারি তলার ৭৫ তম দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করলেন বেনি খাতুন, সন্ধ্যা রায়,পারুল মণ্ডল, নন্দ মণ্ডলেরা। উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাশিপুরব থানার ওসি প্রদীপ পাল, সমাজসেবী অদেদালি শেখ সহ অনান্যরা।
বেনি খাতুন শানপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঝেরহাট গ্রামের বাসিন্দা। বিশেষ ভাবে সক্ষম। প্রত্যেকদিনই অভাবের সংসার চালাতে লড়াই করতে হয় হুইলচেয়ারে বসেই। দিন মজুরের কাজ করে বেনি।
আরও পড়ুন: জমজমাট মাইকেল মধুসূদন পার্কের মহিলা পরিচালিত পুজো
পুজো উদ্ধোধনী প্রাঙ্গণে
ভাঙড়ের পোলেরহাট শোনপুর পাকাপোল সহ একাধিক বাজারে দোকানে দোকানে গিয়ে হাত পাতেন সন্ধ্যা রায়। সংসারের হাল ধরতে স্বামীহারা পারুল মণ্ডল যান কলকাতায়। সেখানে তিনি পরিচারিকার কাজ করেন। স্বামী সন্তানহীন নন্দ মণ্ডলের নিজের সংসার চালাতে ভরসা একশো দিনের কাজ । এঁরা প্রত্যেকদিনই স্বতন্ত্র ক্ষেত্রে লড়াই করে চলেছে জীবন যাপনের জন্য।
আরও পড়ুন: উমার আগমনীতে ঢাকের বোল… যেভাবে মিশে থাকে বাঙালির হর্ষ-বিষাদ
তাঁদের জীবন সংগ্রামকে কুর্নিশ জানাতে দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে তাঁদেরকেই বেছে নিয়েছে লাঙলবেঁকী সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি । নতুন বস্ত্র দিয়ে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করানো হল। এমন সম্মান পেয়ে যারপরনাই খুশি বেনি সন্ধ্যা পারুলরা।