জলপাইগুড়ি: প্রভাবশালী বিধায়ক শ্বশুর। তাই বিধায়ক শ্বশুরের পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেও লাভ হয়নি। শ্বশুর, স্বামী, শাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেও থানা মামলা রুজু করেনি। শেষমেশ আদালতের দ্বারস্থ হলেন রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের পুত্রবধূ। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে থানাকে মামলা রুজু করার নির্দেশ জলপাইগুড়ি আদালতের।
বিধায়কের পুত্রবধূ পিঙ্কি রায় বলেন, আমি আমার শ্বশুর তথা বিধায়ক খগেশ্বর রায়, স্বামী দিবাকর রায় ও শাশুড়ি প্রতিমা রায়ের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ রাজগঞ্জ থানা ও পুলিস সুপারের কাছে করেছিলাম। কিন্তু, কোনও কেস রেজিস্ট্রার হয়নি। শুক্রবার আমি বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হই।
আরও পড়ুন: Basirhat Suicide: স্ত্রী আত্মঘাতী, প্ররোচনার অভিযোগে গ্রেফতার পার্শ্বশিক্ষক স্বামী
পিঙ্কি জানান, বধূ নির্যাতনের অভিযোগ রাজগঞ্জ থানা কেস রেজিস্ট্রার না করে লিগ্যাল এইডে বিষয়টি পাঠিয়ে দেয়। লিগ্যাল এইডে মীমাংসা না-হওয়ার দরুন ফের রাজগঞ্জ থানায় অভিযোগ জানালেও সেই অভিযোগ রুজু না করার ফলে আদালতের দ্বারস্থ হন। পিঙ্কি বলেন, শ্বশুর আমাকে কোনওদিন মারধর করেনি। কিন্তু আমাকে কোনওদিন সাহায্যও করেননি। উলটে ছেলেকে সমর্থন করেছেন। তাই তিনিও সমান দোষী।
রাজগঞ্জের পাতিলাভাসায় ২০১৯ সালে মার্চ মাসে খগেশ্বর রায়ের ছেলে দিবাকরের সঙ্গে বিয়ে হয় ময়নাগুড়ির পিঙ্কির। কিন্তু বিয়ের পর থেকে তাঁর উপর অত্যাচার করা হতো বলে অভিযোগ করেন তিনি। গত বছর থেকে রাজগঞ্জ থানায় কেস করার চেষ্টা হলেও থানা অভিযোগ নেয়নি৷
পিঙ্কির আইনজীবী সৌজিত সিং জানান, আজ সিজেএমের (CJM) সামনে সমস্ত বিষয়টি আমরা তুলে ধরি। এদিন আদালত নির্দেশ দিয়েছে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করার জন্য। আগে যে অভিযোগ হয়েছিল, সেটাকে ধরে রাজগঞ্জ থানাকে ফৌজদারি মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১২ জুনের মধ্যে পুলিসের তদন্ত কতদূর এগলো তা আদালতকে জানাতে হবে।