কলকাতা: শারীরিক অসুস্থতার জন্য বারবার সিবিআইয়ের তলব এড়াচ্ছেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের পর এবার অনুব্রত মণ্ডলের নিরাপত্তা নিয়ে বিস্ফোরক বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, জেলে থাকলে অনুব্রত মণ্ডল নিরাপদে থাকবেন। না হলে তাঁকে খুনও করা হতে পারে। অনুব্রত অনেক কিছু জানেন। সেই তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁর প্রাণ সংশয় রয়েছে।
সোমবার সকালে দিলীপ ঘোষ বলেন, “হয় অনুব্রত সারাজীবন হাসপাতালে থাকতে হবে নইলে জেলে। অনুব্রত জেলে থাকলে ঠিক আছে। নিরাপদে থাকবেন। হাসপাতালে থাকলে বাঁচার সম্ভাবনা কম। অনুব্রত অনেক মামলায় অভিযুক্ত। একটা চাবি হারিয়ে ফেললেই হল। তাই তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য ওঁকে মেরে ফেলা হতে পারে।”
এর আগে বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার অনুব্রত মণ্ডলের প্রাণহানির আশঙ্কা করেছিলেন। এক অনুষ্ঠান থেকে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, অনুব্রত মণ্ডলকে বিষ ইঞ্জেকশনে মেরে ফেলতে পারে তৃণমূল। বিজেপি বিধায়ক বলেছিলেন, ‘বীরভূমের বগটুই-কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড অনুব্রত মণ্ডল এখন পেট ফুলিয়ে উডবার্ন ওয়ার্ডে শুয়ে আছে। আমার তো মনে হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে তাঁকে আর ফিরতে দেবেন না। কারণ, অনুব্রত ফিরলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সব কুকীর্তি উগরে দেবেন সিবিআইয়ের কাছে। সিবিআই জানতে পারলে ভাইপো, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সকলে জেলে যাবে।’তিনি আরও বলেন,‘আগামিদিনে অনুব্রতকে সিবিআইয়ের দরজায় যেতে হবে, না হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষাক্ত ইঞ্জেকশনে মরতে হবে। কারণ, তৃণমূল ক্ষমতায় থাকতে সবকিছু করতে পারে।’
আরও পড়ুন: Corona Updates: চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, দেশে আবারও বাড়ল সংক্রমণের সংখ্যা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে ভিত্তিহীন, আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গোপাল শেঠ।
গরু পাচার মামলায় শনিবার সিবিআই হাজিরা এড়িয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলাতেও রবিবার সিজিও কমপ্লেক্সে যাননি তৃণমূল নেতা। অনুব্রতর আইনজীবী চিঠি দিয়ে সিবিআইকে জানায়, অসুস্থতার কারণেই হাজিরা দিতে পারবেন না তৃণমূল নেতা।