ধূপগুড়ি: রাতেই ‘লক্ষ্মী’ এল ঘরে। প্রেমিকার বাবার বিয়েতে আপত্তির হরধনু ভেঙে চার ঘণ্টার ধরনায় লক্ষ্মীকে জিতেই নিলেন সঞ্জিৎ। শুধু তাই নয়, সিনেমা-সিরিয়ালের গল্পকেও তুড়ি মেরে রাতেই চারহাত এক হয়ে গেল। অগ্নিসাক্ষী রেখে সাতপাকে বাঁধা পড়ে লক্ষ্মীকে বরমাল্য পরালেন সঞ্জিৎ।
সোমবার বিকেলে ধূপগুড়ি শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিয়ের দাবিতে ধরনায় বসেন সঞ্জিৎ রায় নামে এক যুবক। দীর্ঘ চার ঘণ্টার এই ধরনার মাঝে শুরু হয়ে যায় মুষলধারে বৃষ্টি। তবু বৃষ্টি মাথায় নিয়েই লক্ষ্মীকে জীবন সঙ্গিনী হিসেবে পেতে ধরনায় বসে থাকেন সঞ্জিৎ। তাঁর দাবি, দীর্ঘ ৬ বছর তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। লক্ষ্মীকে ঘরে তুলতে সবরকম জোগাড়যন্ত্র শুরু করেছিলেন সঞ্জিৎ।
রাতেই ‘লক্ষ্মী’ এল ঘরে। প্রেমিকার বাবার বিয়েতে আপত্তির হরধনু ভেঙে চার ঘণ্টার ধরনায় লক্ষ্মীকে জিতেই নিলেন সঞ্জিৎ
আরও পড়ুন: Siliguri Dacoit: শিলিগুড়িতে একাকী বৃদ্ধকে মারধর করে বেঁধে গয়না, নগদ টাকা লুঠ
এরই মাঝে ‘খলনায়ক’ হয়ে দাঁড়ান লক্ষ্মীর বাড়ির লোক। বন্ধুদের থেকে খবর পান সেই যুবক, লক্ষ্মীর বিয়ের জন্য বাড়ি থেকে চলছে দেখাশোনা। এই খবর পাওয়া মাত্রই বিয়ের দাবিতে লক্ষ্মীর দুয়ারে এসে বসেন তিনি। এর আগেও ধূপগুড়িতে বিয়ের দাবিতে একাধিক ধরনায় সাফল্য মিলেছে। এই ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হল না। শেষমেশ দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে উলুধ্বনিতেই মালাবদল হল। বারঘরিয়া গ্রামের সঞ্জিতের বাড়িতে হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। সঞ্জিতের বন্ধুরা তখন আনন্দে আত্মহারা। কেননা সঞ্জিতের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে ভরসা জুগিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরাই। প্রেম পরিণতি পাওয়ায় পাত্র-পাত্রী উভয়েই খুশি। মিলনান্তক এই চিত্রনাট্যে ধূপগুড়িও ফের একবার শিরোনামে।