ধূপগুড়ি: মৃতদেহ দাহ করতে এসে রোদে দগ্ধ হয়ে মরার দশা! সৌজন্যে বিকল চুল্লি। রোদের মধ্যে টানা চার ঘণ্টা মৃতদেহ নিয়ে দাঁড়িয়ে আত্মীয়-পরিজনরা। মঙ্গলবার সকালে ধূপগুড়ি পুর এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ধীরেন রায় নামে এক ব্যক্তি অসুস্থতার কারণে মারা যান। এরপর দেহ নিয়ে আত্মীয়রা ধূপগুড়ি মহাশ্মশানে নিয়ে আসেন বৈদ্যুতিক চুল্লিতে দাহ করার জন্য।
ধূপগুড়ি শ্মশান
অভিযোগ সকাল ৮টা থেকে দাঁড়িয়ে দুপুর গড়িয়ে গেলেও ইলেকট্রিক চুল্লিতে দাহ করা সম্ভব হয়নি। শ্মশান কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে চুল্লিতে গোলযোগ দেখা দিয়েছে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। ১০ মিনিটের অপেক্ষা পেরিয়ে যায় চার ঘণ্টা। দীর্ঘক্ষণ রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করতে থাকেন আত্মীয়-পরিজনরা।
আরও পড়ুন:Heat Wave Guideline: দগ্ধ দিনে কী করবেন, কী করবেন না, নির্দেশিকা রাজ্য সরকারের
অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই ধূপগুড়ি মহাশ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লি বিকল হয়ে পড়ে থাকে। আর যার জেরে সমস্যায় পড়তে হয় শ্মশানে আসা মানুষকে। ইলেকট্রিক চুল্লির বাইরে গিয়ে কাঠে মৃতদেহ দাহ করতেও সমস্যা। অভিযোগ, কাঠে মৃতদেহ দাহ করার দায়িত্বে যাঁরা থাকেন, তাঁদের সময়মতো পাওয়া যায় না।
এ বিষয়ে ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশকুমার সিং বলেন, বৈদ্যুতিক যন্ত্র, মাঝেমধ্যে খারাপ হতেই পারে। তবে খারাপ হলে সঙ্গে সঙ্গে সারাই করার লোক পাঠানো হয়। কোনও মানুষকে হয়রানি হতে হয় না এখানে এসে। মাঝেমধ্যে ভোল্টেজের সমস্যা থাকে। তবে রোদে দাঁড়িয়ে থাকার কোনও ব্যাপার নেই। শ্মশানের ভিতরে বসার পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে।