দেগঙ্গা: প্রধান শিক্ষকের ঘুসি স্কুলেরই সহকর্মী এক শিক্ষককে। নাক ফেটে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। এই ঘটনাকে ঘিরে নিন্দার ঝড় উঠেছে এলাকায়।
ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা এলাকায়। এই ঘটনার কারণে শুক্রবারের মতো বন্ধ হয়ে যায় স্কুল। শিক্ষাঙ্গনের ভিতরে মারামারিতে উত্তেজনা ছড়ায় দেগঙ্গার বাজিতপুর এমএসকে স্কুলে। স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষককে আটকে রেখে পুলিসের হাতে তুলে দেন।
ঘটনার সূত্রপাত টাকা ধার নেওয়া ও ছুটি না দেওয়াকে কেন্দ্র করে। আক্রান্ত শিক্ষক কার্তিক পাল জানান, প্রধান শিক্ষক জয়দেব ঘোষের কাছ থেকে তিনি ৫০ হাজার টাকা পান। সেই টাকা চাওয়া নিয়ে গন্ডগোল শুরু।
এছাড়াও তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে ডাক্তার দেখানোর জন্য ছুটি চেয়েছিলেন বৃহস্পতিবার। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ছুটি না দেওয়ায় কার্তিকবাবু বৃহস্পতিবার স্কুল কামাই করেন। এদিন স্কুলে আসা মাত্রই শুরু হয় বচসা। তারপরই প্রধান শিক্ষক জয়দেব ঘোষ তাঁর মুখে ঘুসি মারেন। দেগঙ্গা থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিস এসে প্রধান শিক্ষককে আটক করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine Conflict: তাঁত বেচে ডাক্তারি পড়তে ইউক্রেনে, ৫ দিন অভুক্ত অবস্থায় ঘরে ফেরত
প্রতিবেশীরা বলেন, বহুদিন ধরেই ধার নেওয়া টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না হেডমাস্টার। তা নিয়েই দুজনের মধ্যে গোল বাধে। এদিন সকালে স্কুল শুরুর আগেই ফের ঝগড়া শুরু হয়। তখনই এই ঘটনা ঘটে। শিক্ষকদের মধ্যে মারামারিতে হতবাক হয়ে গিয়েছেন স্থানীয়রা।