কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: পাঁচ রাজ্যের ভোটে বিপর্যয়ের পরেও কংগ্রেস জানিয়ে দিল, তারা চলতি বছরের শেষের দিকে এবং ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটের জন্য প্রস্তুত আছে(CWC Meeting)। এমনকী ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের জন্যও তারা সম্পূর্ণভাবে তৈরি(Congress Meeting)।
সূত্রের খবর, রবিবার দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে পাঁচ রাজ্যের ভোট বিপর্যয় নিয়ে প্রাথমিক বিশ্লেষণের পাশাপাশি আগামী ২ বছরে অনুষ্ঠিতব্য বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হয়। এই বছরের শেষের দিকে ভোট হবে গুজরাত এবং হিমাচলপ্রদেশে। ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে গুজরাতে বিজেপিকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিল কংগ্রেস। তারপর অবশ্য অনেক জল গড়িয়েছে। বিজেপি ইতিমধ্যেই বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে গুজরাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। পাঁচ রাজ্যের ভোট মিটতে না মিটতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কালবিলম্ব না করে নিজের রাজ্যে গুজরাতে দুদিন কাটিয়ে দিয়েছেন। করেছেন রোড শো-ও। ওই রোড শোয়ে ব্যাপক জমায়েত দেখে মোদি তাঁর উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারেননি।
এ বছরের শেষদিকে ভোট রয়েছে হিমাচলপ্রদেশেও। ওই পাহাড়ি রাজ্যেও ভোটের কাজ শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। আগামী বছর ভোট রয়েছে কর্নাটক, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলঙ্গনা, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মেঘালয়, ত্রিপুরার মতো রাজ্যগুলিতে। এই মুহূর্তে শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেস ক্ষমতায় রয়েছে কেবল ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানে। কর্নাটকে জেডিএসের সঙ্গে জোট করে কংগ্রেস রাজ্য শাসন করছিল। কিন্তু বিজেপি দল ভাঙানোর খেলায় কর্নাটক দখল করে নিয়েছে। জেডিএস তারপরই কংগ্রেসের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেলেছে। রাজস্থানে ক্ষমতায় থাকলেও কংগ্রেস গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতেও কংগ্রেসের হাল খুব ভাল নয়। ত্রিপুরায় অবশ্য সম্প্রতি বিজেপিতে কিছুটা ভাঙন ধরাতে পেরেছে কংগ্রেস। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীর রায় বর্মনের ছেলে সুদীপ রায় বর্মন বিজেপি ছেড়ে আবার কংগ্রেসে ফিরেছেন।
আরও পড়ুন: Calcutta HC: তপন দত্ত খুনের মামলা সিঙ্গল বেঞ্চে, একমাসের মধ্যে শুনানি শেষের নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের
সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে গোটা দেশেই কংগ্রেসের হাল শোচনীয়। এই অবস্থায় কংগ্রেস হাইকমান্ড বিধানসভার আগামী ভোটগুলি এবং ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে। এই ঘোষণা নিয়ে দলের অন্দরেই জোরালো প্রশ্ন উঠেছে। বিক্ষুব্ধ জি ২৩ গোষ্ঠীর নেতারা ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে মুখ না খুললেও নিজেদের মধ্যে ঘরোয়া আলোচনায় কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বলে সূত্রের খবর। তাঁদের বক্তব্য, সংগঠনের খোলনলচে আমূল না পাল্টালে দলের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। দলকে গান্ধী পরিবারের কবজা থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে।
আরও পড়ুন: Whitechapel Station London: বাংলায় লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশন, গর্বিত মমতা
সংসদের অধিবেশন শেষ হলেই চিন্তন শিবির বসতে চলেছে কংগ্রেসের। ফের বসবে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকও। দুই বৈঠকেই সাংগঠনিক আলোচনার পাশাপাশি বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি নিয়েও কথা হবে। পাঁচ রাজ্যের ভোট বিপর্যয়ে কংগ্রেস কর্মীদের মনোবল এমনিতেই তলানিতে ঠেকেছে। কোন মন্ত্রবলে সেই মনোবল চাঙ্গা করবে গান্ধী পরিবার, সেদিকেই তাকিয়ে আছে রাজনৈতিক মহল।