বোলপুর: গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বাড়িতে সিবিআই হানা। বুধবার সকালে সায়গলের বোলপুরের ফ্ল্যাটে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বোলপুর পুরসভায় রবীন্দ্রবীথি বাইপাসে ফ্ল্যাট রয়েছে সাইগলের। সেখানেই তদন্তপ্রক্রিয়া চালাচ্ছে সিবিআই।
ধৃত সায়গল হোসেন ৮ দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। আগামী ১৭ জুন তাঁকে আবার আদালতে পেশ করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার সায়গল হোসেনকে সিবিআই তলব করে। দুপুরে নিজাম প্যালেসে ডেকে ম্যারাথন জেরা করা হয় তাঁকে। জেরার সময় অনুব্রতর দেহরক্ষীর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ার কারণে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সেদিন সকালেই নিজাম প্যালেস থেকে সায়গলকে নিয়ে যাওয়া হয় আসানসোলে। তারপর সিবিআই ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন করলেও শেষ পর্যন্ত ৮ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর ২০১৩ সাল থেকেই সায়গল বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রতর দেহরক্ষী হিসেবে কাজ শুরু করেন। তাঁর বাবাও কাজ করতেন রাজ্য পুলিসে। বাবার মৃত্যুর পর তিনি পুলিসের কনস্টেবল হিসেবে চাকরি পান। প্রথমে সাধারণ দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করলেও পরবর্তীকালে তিনিই হয়ে ওঠেন অনুব্রতর প্রধান রক্ষী।
সিবিআই সূত্রের খবর সায়গলের বাড়ি মুর্শিদাবাদের ডোমকোলে। মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমে তাঁর একাধিক জমি, ফ্ল্যাট রয়েছে। তিনি একাধিক গাড়িরও মালিক। সিবিআইয়ের দাবি পাচারের যাবতীয় কাজকর্ম মূলত সায়গলের মাধ্যমে হত। তাঁর হাত দিয়েই বিপুল আর্থিক লেনদেনও চলত। গরুপাচারের তদন্তে নেমে সিবিআই বহুবার সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সিবিআই অফিসাররা তাঁর ডোমকলের বাড়িতেও অনেকবার তল্লাশি চালিয়েছেন। পরিবারের লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।