রামপুরহাট: মঙ্গলবারও মিহিলালকে নিয়ে বগটুই গ্রামে যান তদন্তকারী অফিসাররা। মৃত নাজিমা বিবির বাড়িতেও নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। নাজিমা বিবির স্বামী শেখলাল শেখের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। ঘটনায় জখম বুলবুলি খাতুন ও ১১ বছরের নাবালককেও নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার বগটুই হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষদর্শী তথা নিহত নাজিমা বিবির আত্মীয় মিহিলাল শেখকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় সিবিআই। সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে মিহিলালকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা।
বগটুইকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে মিহিলালের নাম বারবারই উঠে এসেছে। মিহিলাল বলেছিলেন, গ্রামে গেলে তবেই তিনি তদন্তকারীদের সঙ্গে কথা বলবেন। এদিন নাজিমার বাড়ির সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। পরে কুমাড্ডা গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় মিহিলালকে। সাজেনার শ্বশুর বাড়ি এখানে। ঘটনার পর থেকে তাঁরা এখানেই আশ্রয় নেন। সেখানে নাজিমার মেয়ে সাজেনা খাতুনের বাড়িতে যান তদন্তকারী অফিসাররা। সাজেনার সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা।
সোমবার রামপুরহাটের এসডিপিও সায়ন আহমেদকে জেরা করে সিবিআই। আজ, মঙ্গলবার রামপুরহাট থানার সাসপেন্ডেড আইসি ত্রিদীপ প্রামানিককে ডেকে পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নিয়ম অনুযায়ী মোবাইল বাইরে রেখেই সিবিআইয়ের অস্থায়ী দফতরে ঢুকেছিলেন ত্রিদীপ প্রামানিক। তাঁর গাড়ির চালকের কাছে মোবাইল রেখে সিবিআইয়ের দফতরে ঢোকেন তিনি। কিছুক্ষণ পরেই সেই মোবাইল চেয়ে পাঠান তদন্তকারী আদিকারিকেরা। সেই গাড়ির চালক সিবিআইয়ের অস্থায়ী দফতরে গিয়ে মোবাইল পৌঁছে দিয়ে আসে। আগেই আইসি কল রেকর্ড সংগ্রহ করেছিল সিবিআই।
সূত্রের খবর, ওই রাতে ঠিক কী হয়েছিল, তা তাঁদের কাছে জানতে চায় তদন্তকারী আধিকারিকেরা। কখন পুলিস গ্রামে যায়, সেইসময় গ্রামের কী পরিস্থিতি ছিল এবং পুলিসের তরফে কী পদক্ষেপ করা হয়েছিল, এই সমস্ত প্রশ্ন করা হয় তাঁকে।