কলকাতা: সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পাঁচ গণধর্ষণ মামলায় তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে ২ মে-র মধ্যে পুলিসি রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিল আদালত। নামখানা, ময়নাগুড়ি, নেতরা, শান্তিনিকেতন ও পিংলার গণধর্ষণ মামলায় কেস ডায়রি তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার সেই মামলাগুলির শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য পুলিসের তদন্তের উপরেই আস্থা রেখেছে।
এদিন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, ময়নাগুড়ির ধর্ষণকাণ্ডে দুটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে ধর্ষণ এবং হুমকির। মূল অভিযুক্তকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত নিয়ে পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ করা হয়নি। মামলাকারীদের আইনজীবী সুস্সমিতা দত্ত বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণের ঘটনাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সারা দেশে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করছে। কোন্নগরেও ১২ ক্লাসের এক ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনা বৃহস্পতিবার সামনে এসেছে। আদালত জানায়, স্থানীয় পুলিসই ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: Boris Johnson: ব্রিটিশ সরকার খালিস্তানি উগ্রপন্থীদের বরদাস্ত করবে না, সাফ জানালেন বরিস
আইনজীবী সুস্মিতা দত্ত জানান, নেতরার ঘটনায় পুলিস অভিযোগ নিয়েছে অনেক দেরি করে। মেডিক্যাল চেকআপেও অনেক দেরি করা হয়েছে। আদালত বলে, ঘটনার ছদিন পর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিতার ডিএনএ টেস্টের প্রয়োজন। বেঞ্চ জানায়, এখানেও স্থানীয় পুলিসের তদন্ত চলবেষ
নামখানার ঘটনা তুলে ধরে আইনজীবী পিঙ্কি আনন্দ জানান, নির্যাতিতার পরিবারকে বারবার অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। এজি জানান, তদন্ত এখনও চলছে। আদালত বলে, নামখানার তদন্ত নিরপেক্ষভাবে হচ্ছে না। তাই স্পেশাল কমিশনার অফ পুলিস দময়ন্তী সেন তদন্ত তদারপ করবেন।
আরও পড়ুন: Corona Delhi: দিল্লি কড়া, মাস্ক না পরলে জরিমানা ৫০০ টাকা
শান্তিনিকেতনে আদিবাসী কিশোরীর ধর্ষণের ঘটনায় কোনও নিরপেক্ষ সংস্থা দিয়ে তদন্তের দাবি তোলে সুস্মিতা দত্ত। একইভাবে পিংলার ঘটনারও নিরপেক্ষ সংস্থা দিয়ে তদন্ত চান আইনজীবী সুস্মিতা দত্ত। শান্তিনিকেতন এবং পিংলার তদন্ত রিপোর্ট এবং কেস ডায়রি এদিন আদালতে পেশ করা হয়। আদালত জানায়, পিংলার ঘটনার তদন্ত করবেন আইপিএস অফিসার পারুলকুশ জৈন।