মঙ্গলকোট: এমনিতে মানসিক ভারসাম্যহীন। তাই তাঁর কথায় বিশেষ গুরুত্ব দিত না কেউই। পেটে ব্যথার কথাতেও প্রথমে অনেকে আমল দিতে চাননি। কিন্তু, সেটা যখন যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকার পর্যায়ে পৌঁছয়, তখন দেখা গেল অত্যাশ্চর্য ঘটনা। তাঁর পেটের ভিতরে রয়েছে পেরেক, কয়েন ও পাথরকুচির বিপুল ভাণ্ডার। শেষমেশ ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচারে বের করা হল সেই সমস্ত পেরেক ও কয়েন। তাঁর পেট থেকে বেরিয়েছে মোট ২৫০টি পেরেক। সঙ্গে ৩৫টি কয়েন। সফল অস্ত্রোপচারের পর এখন সেই মানসিক ভারসাম্যহীন সেখ মইনুদ্দিন অনেকটা সুস্থ।
আরও পড়ুন: Agnipath Scheme: অগ্নিপথের আগুন নেভাতে প্রকল্প বাতিলের দাবি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর
মঙ্গলকোটের কৃষ্ণবাটি গ্রামের বাসিন্দা সেখ মইনুদ্দিন(৩৮)। মানসিক অসুস্থতার কারণে নিয়মিত চিকিৎসা করান। শনিবার সকাল থেকে কোনও কিছুই খাচ্ছিলেন না মইনুদ্দিন। মঙ্গলবার বর্ধমান শহর সংলগ্ন একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের এক চিকিৎসককের কাছে মইনুদ্দিনকে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। সেখানে বিপুল টাকার প্যাকেজের কথা জানানো হয় পরিবারকে। কিন্তু, আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারের পক্ষে অত টাকা জোগাড় করা সম্ভব ছিল না। তাই ডাক্তারের পরামর্শমতো বুধবার সকালে তাঁকে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকরা এক্স রে করে দেখতে পান তাঁর পেটের ভিতরে জমে রয়েছে ধাতব বস্তু। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ভর্তি করা হয়। রাতেই অস্ত্রোপচার করে তাঁর পেট থেকে ২৫০টি পেরেক, ৩৫টি কয়েন ও বেশ কিছু পাথরকুচি বের হয়। আপাতত তিনি সুস্থ আছেন বলে জানাচ্ছেন বর্ধমান হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ। এই অপারেশন বর্ধমান হাসপাতালের এক অভূতপূর্ব সাফল্য বলে তিনি দাবি করেন।