কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: রেহাই পেয়েও নিস্তার নেই। বরিস জনসনের চেয়ার টলমল। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দল কনজারভেটিভ পার্টির আরও এক আইনসভা প্রতিনিধি লরা ট্রট পদত্যাগ করলেন। ট্রট দেশের পরিবহণ মন্ত্রকের সংসদীয় ব্যক্তিগত সচিব পদে ছিলেন। জনসনের প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা নিয়ে এইভাবে একের পর এক পদত্যাগের ঝড়ে তাঁর গদি যায় যায় অবস্থা। কিছুদিন আগেই অনাস্থা ভোটে জিতে আরও একবছরের জন্য চেয়ার আঁকড়ে ধরে রাখতে পারলেও, জনসন সরকারের বড় বড় চাঁই মন্ত্রীদের পদত্যাগে তাঁর প্রতি অনাস্থাই প্রকাশ পাচ্ছে।
পদত্যাগ করে ট্রট টুইটে লিখেছেন, রাজনীতিতে বিশ্বাস ও আস্থাই জরুরি। শুধু তাই নয়, সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। গত কয়েক মাস ধরে সেটাই হারিয়ে গিয়েছে। বুধবার তাঁর পদত্যাগের ঠিক আগেই পদত্যাগ করেন উইল কুইন্স। তিনি শিশু ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের মন্ত্রী ছিলেন। তিনি বলেছেন, পদত্যাগ করা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। এর আগে গত মঙ্গলবার তাঁর মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভেদ ও অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক কয়েক মিনিটের মধ্যে ইস্তফা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Dengue Chikungunya ICMR: ‘প্রেমের ফাঁদে’ ডেঙ্গি-চিকুনগুনিয়া রোধের পরিকল্পনা আইসিএমআরের
এভাবে চলতে থাকলে পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী পদে তিনি আর থাকার অধিকারী কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে। তাঁর দলের ভিতরেই এখন জনসনের দেশ চালানোর মতো যোগ্যতা আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। গত কয়েক মাস ধরে জনসন সরকারের অভ্যন্তরে দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারির ঘটনা সামনে আসছে। তাঁদের সকলেরই একই অভিযোগ যে, বরিসের আর চেয়ারে থাকার অধিকার নেই, তাঁরা আর তাঁর নেতৃত্ব মানতে নারাজ। ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের ইস্তফার সঙ্গে সঙ্গেই নিচুতলার মন্ত্রীদের পদত্যাগেও বিষয়টি ঘোরাল হয়ে উঠেছে।
শুধু তাই নয়, কনজারভেটিভ পার্টির অন্দরেও জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে যে, বরিসের মেয়াদ ফুরিয়ে এসেছে। কিন্তু, বরিস এই অবস্থাতেও নিজে থেকে চেয়ার ছাড়তে নারাজ। অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগের পরই তিনি শিক্ষামন্ত্রী নাদিম জাহাউয়িকে অর্থের দায়িত্ব দিয়েছেন। অন্যান্য মন্ত্রকেও নতুন মন্ত্রী নিয়োগ করেছেন। ইউগভ নামে একটি সংস্থার জনমত সমীক্ষাতেও দেখা যাচ্ছে, ৬৯ শতাংশ ব্রিটিশ আর বরিস জনসনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন না। যদিও বাকি অংশ এবং অন্য বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এখনও তাঁর পাশেই রয়েছেন। জনসনের বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কের স্টার্মারের মত অবশ্য অন্যরকম। তিনি বলেছেন, কেলেঙ্কারি ও ব্যর্থতার যা বহর, তাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, সরকারে পতন অনিবার্য।