নয়া দিল্লি: “অবসরের পর কোন পদ নেব না, কিন্তু আইনি পেশাতেই কিছু করব।”- জানালেন বিদায়ী প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না (Sanjiv Khanna)। “বিচার মনস্ক ভাবনা হতে হবে বিচারমূলক, নিষ্পত্তিমূলক। প্রতিটি বিষয়ের সদর্থক ও নঞর্থক দিকগুলি খতিয়ে দেখে যুক্তিসম্মত সিদ্ধান্তে আসতে হয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। এরপর ভবিষ্যৎ ঠিক করে, আমরা ঠিক না ভুল করেছিলাম। বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ কিভাবে সামলালেন?” এমন প্রশ্নের জবাবে অভিমত প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার।
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে CBSE-র দ্বাদশ শ্রেণির ফল
সমৃদ্ধ আইনি পরম্পরাবাহি পরিবারে ১৯৬০ সালের ১৪ মে তাঁর জন্ম। পিতা দেবরাজ খান্না ছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি। মা সরোজ খান্না শ্রী রাম কলেজের ছিলেন লেকচারার। প্রাক্তন সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি এইচ আর খান্নার তিনি ভাইপো। যে কাকা ভারতীয় বিচারব্যবস্থার ক্ষেত্রে কেশবানন্দ ভারতী মামলার যুগান্তকারী রায়দানকারী। আবার জরুরি অবস্থা সময় এডিএম জব্বলপুর হেভিয়াস করপাস মামলায় তিনি সরকারবিরোধী অবস্থান নেন। বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনচেতা মনোভাবের প্রতিফলন হিসেবে চিহ্নিত সেই অবস্থানের কারণে তিনি নিশ্চিত সুপ্রিম প্রধান বিচারপতির পদ থেকে বঞ্চিত হন।
অন্যদিকে, তাঁর দাদু সরভ দয়াল ছিলেন ১৯১৯ সালের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় কংগ্রেসের তদন্তকারী দলের গুরুত্বপূর্ণ আইনজীবী। প্রায় তিন দশক আইনজীবী ও বিচারপতি হিসেবে তিনি দিল্লি হাইকোর্টে কাটিয়েছেন। ছিলেন আয়কর দপ্তরের সিনিয়র স্ট্যান্ডিং কাউন্সেল। দিল্লি হাইকোর্টে ২০০৫ সালে তিনি অতিরিক্ত বিচারপতি হন। স্থায়ী বিচারপতি হন ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সুপ্রিম কোর্টে আসেন ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ।
দেখুন আরও খবর: