বসিরহাট: মাদক পাচারের অভিযোগে স্বামী জেলে। আর সেই সুযোগে প্রেমিকের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মতো থাকতেন এক নর্তকী। অবশেষে পরকীয়া সেই প্রেমের মাশুল গুনতে হল জীবন দিয়ে। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্রাক করে পুলিস অবশ্য সেই প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে। বাড়ির লোকের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা দায়ের করেছে। পুলিসের অনুমান, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে যুবতীকে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাট থানার চাঁপাপুকুর পঞ্চাননতলার বাসিন্দা এই নর্তকী। তাঁর নাম তসলিমা বিবি। বয়স ২৬। বছর দুয়েক আগে পেশায় নর্তকী তসলিমার হাসনাবাদ থানার নোয়াপাড়ার মতিন গাজির সঙ্গে বিয়ে হয়। মতিন মাদক পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হয়। সেই মামলায় এখন জেল হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: Chakdah Murder: পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন, পরে রেল লাইনে আত্মঘাতী মা ও ছেলে
এরপর থেকে মিঠুন বিশ্বাসের সঙ্গে তসলিমার পরিচয় হয়। তসলিমার সঙ্গে মিঠুন বিশ্বাস নামে ওই যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্বামী জেলে থাকায়, মিঠুনের সঙ্গে আরও অন্তরঙ্গ ঘনিষ্ঠতা বেড়ে যায়। বিভিন্ন মঞ্চে নাচ করে বেড়াতেন তসলিমা। এই ফাঁকে তারা দীর্ঘদিন পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এমনকী নাচ-গানের অনুষ্ঠানে গিয়েও মিঠুনকে তাঁর স্বামী বলে পরিচয় করাতেন তসলিমা।
তসলিমার বাপেরবাড়ি দেগঙ্গা থানার পোলতাআটি গ্রামে। যদিও তসলিমা ও মিঠুন স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে বসিরহাটের পঞ্চাননতলায় ভাড়া থাকতেন। শনিবার রাতে তসলিমার মৃতদেহ উদ্ধার হয় ওই ভাড়া বাড়ি থেকে।
আরও পড়ুন: Behala TMC Clash: বেহালায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মারামারির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাপান গ্রেফতার
তারপর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না মিঠুনের। পড়শিরা জানান, মিঠুন বিশ্বাস পালিয়ে গিয়েছে। তদন্ত করতে নেমে পুলিস জানতে পারে মিঠুনের মোবাইল লোকেশন হিঙ্গলগঞ্জ থানা এলাকায়। সেখান থেকে মিঠুনকে গ্রেফতার করে বসিরহাট থানার পুলিস। রবিবার ধৃত প্রেমিক মিঠুনকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে।