কলকাতা: ভাগ্নেকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হলেন মামা। আলিপুরের আফতাব মস্ক লেনের ঘটনা। পুলিস জানায়, মৃতের নাম মানস সরকার। পাড়ায় খেলতে গিয়ে কয়েকজন যুবকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে মানসের ভাগ্নে। তাকে বাঁচাতে গিয়েই প্রাণ হারান ৫৫ বছর বয়সি ওই ব্যক্তি। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে আলিপুর থানার পুলিস।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার বিকেলে পাড়ায় খেলতে যায় ওই ব্যক্তির ভাগ্নে। পাড়ার তিন যুবকের সঙ্গে বচসা বাঁধে তার। শুরু হয় মারামারি। তখনই ভাগ্নেকে বাঁচাতে যান মানস। সেখানে তাঁকে মারধর শুরু করে ওই যুবকরা। মারের চোটে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মানসের।
শনিবার সকালে আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে মানস সরকারের পরিবার। পুলিস জানায়, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন চেতলা হাট রোডের বাসিন্দা। বাকি দুই অভিযুক্ত আফতাব মস্ক লেনেই থাকেন। তবে মৃতের ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। অভিযুক্তরা এখনও অধরা। তাদের দ্রুত খুঁজে বের করার আশ্বাস দিয়েছে পুলিস।
গত বুধবার নারকেলডাঙা থানা এলাকার ক্যানাল ইস্ট রোডে মোবাইল ও মানিব্যাগ চুরি করার অভিযোগে পিটিয়ে খুন করা হয় এক যুবককে। শেখ শামিম নামে ওই যুবক ক্যানাল ইস্ট রোডে খালপাড়ের এক ঝুপড়িতে মাকে নিয়ে থাকতেন। বুধবার বেশি রাতে স্থানীয় কয়েকজন শামিমকে ফোন করে বাড়ির বাইরে ডাকে। সেখানেই তাকে চ্যালাকাঠ দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে রাস্তায় দেহ পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের লোকজন। ওই ঘটনায় পুলিস দুজনকে গ্রেফতার করেছে। শামিমের মায়ের অভিযোগ, বুধবার রাতে তাঁকে মোবাইল ফোনে ছেলের আর্তনাদও শোনানো হয়। দেহ মেলার পর শামিমের মা মীনা শেখ নারকেলডাঙা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: Adhir Ranjan Chowdhury: অমিতের ‘ইংরেজির বিকল্প হিন্দি’ মন্তব্যের বিরোধিতা অধীরের
গত দেড় বছরের মধ্যে শুধু কলকাতার ইস্টার্ন সাবার্বান ডিভিশনেই গণপিটুনিতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।