কার্শিয়াং : উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে সময় পেলেই প্রাতঃভ্রমণে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী কার্শিয়াংয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। তারপর বুধবার সকালে কার্শিয়াংয়ের সার্কিট হাউস থেকে প্রাতঃভ্রমণে যান। প্রথমে কার্শিয়াংয়ের মহানদী পর্যন্ত যান। সেখানে ঘুরে দেখেন।বাজার৷ বাজারের একটি দোকান থেকে কেনাকাটাও সারেন। তারপর হেঁটেই ফিরে আসেন সার্কিট হাউসে।
বুধবার কাশিয়াং সার্কিট হাউস থেকে মহানদী পর্যন্ত মোট ৫ কিলোমিটার পথ হেঁটে যান মুখ্যমন্ত্রী। হেঁটেই ফেরেন। মহানদীর বাজার থেকে কেনাকাটার পর সেখানকার মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী যে দোকান থেকে কেনাকাটা করলেন সেই দোকানের মালিক মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পেরে খুব খুশি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছোট দোকানে এসে কেনাকাটা করবেন, এই কথা ভেবেই তাঁরা আপ্লুত। কেনাকাটা শেষ করে মুখ্যমন্ত্রী মহানদীর কাছেই রাস্তার পাশে একটি চায়ের দোকানে বসে চা খান এবং সেখানে রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের গানও শোনেন।
আরও পড়ুন : মঙ্গলবার কার্শিয়াং টাউনহলে কালিম্পং ও দার্জিলিং জেলার প্রশাসনিক বৈঠক মমতার
বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, পাহাড়ের মানুষরা উলের জিনিস বানান। এর থেকে স্থানীয়দের রোজগার হয়। পাহাড়ের বাসিন্দারা যেহেতু মোটা উলের সোয়েটার বানান, তাই তিনি তাঁদের সরু বা পাতলা উলের সোয়েটার বানানোর পরামর্শ দেন। মহানদীর বাজারের সোয়েটার বিক্রেতাদেরও পাতলা উলের সোয়েটার বানানোর পরামর্শ দেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী যখনই পাহাড়ে আসেন তখনই কিছুটা সময় বের করে নেন প্রাতঃভ্রমণের জন্য। এই সময়ের মধ্যে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথাবার্তা বলে, তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে জানতে পারেন। বুধবার কার্শিয়াংয়ে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সেই কাজ করলেন তিনি। কথা বললেন স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে৷ বৃহস্পতিবার তিনি কার্শিয়াং থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দর ফিরবেন।