রানীনগর : নিজের গড় মুর্শিদাবাদের রানীনগর থানার গোধনপাড়া এলাকা ঢুকতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অধীর চৌধুরী। কালো পতাকা দেখিয়ে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয় তাঁর গাড়ি ঘিরে । আক্রান্ত কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে এলাকা ছেড়ে বেরোনোর সময় আরও একবার বিক্ষোভের মুখে পড়েন অধীর চৌধুরী। উত্তেজিত জনতাকে সামাল দিতে হিমশিম খেতে হল পুলিশকেও।
শুক্রবার গোধন পাড়া এলাকায় আক্রান্ত কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যান অধীর চৌধুরী। গ্রামে পৌঁছানোর খবর পৌঁছে যায় সকলের কাছে। অধীর চৌধুরী ঢুকতেই কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয় পুলিশের সামনেই। তৃণমূল কর্মী সমর্থকরাই কালো পতাকা দেখিয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন অধীর চৌধুরী। এমনকি দলের নেতাদের নির্দেশেই এই বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন- ইডির চার্জশিটে শুভেন্দুর নাম নেই কেন? গ্রেফতার করা হোক শুভেন্দুকে: কুণাল
এরপর বিক্ষোভ পেরিয়ে আক্রান্তদের বাড়ি ঢুকে অধীর চৌধুরী কথা বলেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন আক্রান্তের বাড়ির মহিলারা। বাড়ি ভাঙচুরের সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন আক্রান্তরা। এলাকার আক্রান্ত মহিলাদের বক্তব্য, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাড়ি ভাঙচুর করে এলাকা ছাড়া করতে চাইছে তাঁদের।
বিক্ষোভের মুখে অধীর চৌধুরী
গত ১৫ অগস্ট রাতে রানীনগর পঞ্চায়েত সমিতির ব্লক তৃণমূল সভাপতি শাহ আলমের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনায় নিহত হন শাহ আলমের গাড়ি চালক, আহত হন দুজন । অভিযোগ ওই ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করলেও শাহ আলমের লোকজন এলাকায় সন্ত্রাস চালিয়ে বেড়াচ্ছে। যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় তাদের বাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন- ব্রাত্য-সুস্মিতার ত্রিপুরা সফরের মাঝেই আক্রান্ত তৃণমূল, কাঠগড়ায় বিজেপি
আক্রান্তদের কথা শুনে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘এলাকায় বিনা কারণেই সন্ত্রাস চলছে। কবে কোথায় কোন নেতা আক্রান্ত হয়েছেন সেই ঘটনায় শুধু শুধু জড়িয়ে কংগ্রেস কর্মীদের এমনকি তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে। শাসকদলের গুন্ডাবাহিনী ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী নজর দেওয়া উচিত।’