বাঙালি সংস্কৃতির এক অন্যতম উৎসব জামাইষষ্ঠী। ওই দিন জামাইদের শ্বশুরবাড়িতে নানাভাবে আদর-আপ্যায়ন করা হয়। এই উৎসবকে ঘিরে রয়েছে নানারকম আচার – অনুষ্ঠান। জামাইদের মন ভোলাতে পাত পেড়ে খেতে বসানোর সময় হাত পাখা দিয়ে হাওয়া করার রেওয়াজ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।মূলত বাঁশের তৈরি ডালি, কুলা কিংবা তাল পাতা দিয়ে তৈরি করা হয় এই হাতপাখা। এই হাতপাখা তৈরির সঙ্গেই জড়িয়ে আছে বহু মানুষের রুটি-রুজি।
উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বেশ কিছু গ্রামের মানুষ এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। বেশিরভাগ পরিবারই বৈশ্য সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। বহু পুরুষ ধরে তাঁরা এই কাজ করে আসছেন। আর মাঝে মাত্র একদিন। তারপরই জামাইষষ্ঠী। সেসব নিয়ে ব্যস্ততা তুঙ্গে তাঁদের। করোনার কারণে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে বেশ কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে রাজ্যে। যার প্রভাব পড়েছে তাদের জীবনযাত্রাতেও। অন্যান্যবারের তুলনায় তাদের তৈরি ডালিব, কুলার প্রভৃতি সামগ্রীর কেনা বেচা অনেক কম।এইসময় তাঁদের তৈরি জিনিসের চাহিদা থাকে বছরের অন্যান্য অংশের তুলনায় অনেক বেশি। বিভিন্ন হাটে বাজারে যেমন বিক্রি হয় তেমন পাইকারেরা এসেও তাঁদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে যান এইসব সামগ্রী। কিন্তু এবার এই পরিস্থিতিতে কতটা কেনাবেচা হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় বৈশ্য পাড়ার শিল্পীরা।