কলকাতা: ভারতীয় নার্স (Indian Nurse) নিমিশা প্রিয়ার (Nimisha Priya) মৃত্যুদণ্ডে (Death Sentence) সিলমোহর দিয়েছেন ইয়েমেনের (Yemen) প্রেসিডেন্ট রাশাদ আল-আলিমি। এর ফলে সাত বছর ধরে জেলবন্দি কেরলের বাসিন্দা নিমিশার জীবন এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। ২০১৭ সালে ইয়েমেনি নাগরিক তালাল আব্দো মাহদিকে খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে রয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী নিমিশা। ২০১৮ সালে ইয়েমেনের আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। দীর্ঘ সাত বছর ধরে পরিবার এবং ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালালেও তাঁর শাস্তি মকুব সম্ভব হয়নি।
কেরলের পালাক্কড় জেলার বাসিন্দা নিমিশা ২০০৮ সাল থেকে ইয়েমেনের এক হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজ করতেন। ২০১৪ সালে তাঁর স্বামী এবং মেয়ে ভারতে ফিরে এলেও নিমিশা সেখানে থেকে নিজের একটি ক্লিনিক খোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই সময় তালাল মাহদি নামে এক ইয়েমেনি নাগরিকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়, যিনি ক্লিনিক খোলার জন্য আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দেন। ২০১৫ সালে দুই জনের যৌথ উদ্যোগে ক্লিনিক চালু হলেও ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে মতবিরোধ শুরু হয়। অভিযোগ, মাহদি নিমিশার পাসপোর্ট কেড়ে নেন এবং তাঁকে মানসিকভাবে হেনস্তা করেন।
আরও পড়ুন: জমজমাট কোল্ড পোল ফেস্টিভাল! শীতের অন্ধকারে বল্গা হরিণের দৌড় ও স্লেজ প্রতিযোগিতার মজাদার অভিজ্ঞতা!
২০১৭ সালের ২৫ জুলাই মাহদিকে ঘুমের ইনজেকশন দেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। নিমিশার দাবি, তিনি কেবল পাসপোর্ট পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন। তবে ইনজেকশনের ওভারডোজের ফলে মাহদির মৃত্যু ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনি এক ব্যক্তির সহায়তায় মাহদির দেহ টুকরো করে জলের ট্যাঙ্কে লুকিয়ে ফেলেন। দেশ ছাড়ার চেষ্টা করার সময় নিমিশা গ্রেফতার হন। নিমিশার মৃত্যুদণ্ড মুকুব করার জন্য তাঁর পরিবার একাধিকবার আবেদন জানিয়েছে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আইনজীবী নিয়োগ করা এবং অন্যান্য কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে ইয়েমেনের সুপ্রিম কোর্ট গত বছর এই আবেদন খারিজ করে দেয়।
দেখুন আরও খবর: